রংপুর বিভাগসারাদেশ

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী পেষণে অন্যত্রে থাকায় সৈয়দপুর বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবায় প্রতিষ্ঠিত নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী সংকটে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে অতি সত্তর চিকিৎসক নিয়োগ ও অন্যান্য সংকট সমাধানের জোড় দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে সুযোগ সন্ধানী একটি মহল ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অন্যত্রে সরিয়ে নেয়া কিংবা বন্ধ করার ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত রয়েছে বলে অনেকের অভিমত।
জানা যায়, গুরুত্ব বিবেচনায় ১৯৬২ সালে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবায় ওই নামে দেশে মাত্র দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে একটি ঢাকার মিরপুরে আর অন্যটি সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর সরকারপাড়াস্থ ডা: কোফফার রোডে। কিন্তু সরকারী ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থাটা এমন যে শুধুমাত্র সাইনবোর্ড ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। দুর থেকে বোঝার উপায় নেই আসলে এটি হাসপাতল নাকি বাড়ি। অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীরা নিজেরাই জানেন না তাদের জন্য একটি সরকারী হাসপাতাল রয়েছে। যেখানে বিনামূল্যে ডাক্তার দেখানো এবং ওষুধ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসীর অনেকের অভিযোগ শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে নিয়োগ পাওয়া অনেক ডাক্তারই প্রাইভেট প্রাকটিস কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিমাসে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত একবার ভিজিট করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয় না। নামমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের খাতায় রেজিষ্টার দেখিয়ে চালানো হচ্ছে সরকারী ওই হাসপাতালটি। অথচ প্রতি মাসে মাসে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুকুলে সরকারীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয় ওষুধপত্র।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দুইজন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন একজন। তিনিও আবার পেষনে নীলফামারী মেডিকেল কলেজে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা। তিনি আবার দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালেও।
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রহুল আলম মাষ্টার বলেন, নানান অযুহাত এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ষঢ়যন্ত্র করছে একটি সুবিধাবাদী মহল। তিনি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। নীলফামারীর সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিনুল হক বলেন, জেলা ও উপজেলা আইনশৃংখলা মিটিংয়ে পরপর কয়েকবার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংকট সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানোনো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন শিক্ষানগরী সৈয়দপুরের গর্ব ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চিকিৎসক সমস্যা সমাধান করে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবায় নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মণ বলেন, অতি দ্রুত চিকিৎসক সংকট দূর করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সেবার মান ফিরিয়ে আনা হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button