রংপুর বিভাগসারাদেশ

তিস্তা ব্যারেজে জলকপাট নিয়ন্ত্রণে স্থাপিত ৬ কোটি টাকার অপারেটিং রাউটার চুরি

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: তিস্তা ব্যারাজের জলকপাট নিয়ন্ত্রনের জন্য স্থাপিত অটোমেশন সিস্টেমের সাতটির মধ্যে ছয়টি রাউটার চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রহস্য জনকভাবে ৬ কোটি টাকার ওই রাউটার চুরি নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারেজের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ২০১৮ সালের জুন মাসে ব্যারেজের জলকপাট নিয়ন্ত্রনের জন্য ফাস্টকম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিভিত্তিক অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়। এর জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। সিস্টেমটি স্থাপনের পর ঠিকাদারি ওই প্রতিষ্ঠান অ্যাপসের মাধ্যমে ৫২ টি জলকপাট অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম চালু করার জন্য সাতটি রাউটার স্থাপন করে। কিন্তু মাত্র ১৮ না যেতেই অপারেটিং সিস্টেমটি সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিলেও ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি পুরো বিল তুলে নেয়। জানা গেছে, ২০০৩ সালে জলকপাট নিয়ন্ত্রনের বিদ্যুৎ চালিত সুইচ সিস্টেম অচল হয়ে গেলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা ওই প্রকল্পটি তৈরি করেন। এতে উল্লেখ পরিমান টাকা ব্যয় ধরা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, তিস্তা ব্যারেজ হলো কেপিআই-১ এলাকা। এখানে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার টহল থাকে। এ অবস্থায় কিভাবে মূল্যবান রাউটার চুরি হয়। ৬টি রাউটার চুরি দেখিয়ে অপর একটি রাউটার খুলে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা বলেন অ্যাপস এর মাধ্যমে অটোমেশন অপারেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ব্যারেজের উপর অন্যান্য যন্ত্রাপাতির সাথে ৭টি রাউটার স্থাপন করা ছিল। রাউটার গুলো চুরি হয়েছে, না কি কেউ খুলে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে এ ঘটনায় হাতিবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান তিনি। হাতিবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, ডালিয়া দোয়ানী আইসি ক্যাম্পে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সামছুজ্জোহা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তাদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরে মামলার জন্য এজাহার চাওয়া হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button