খুলনা বিভাগসারাদেশ

ধান উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

 রাজবাড়ী প্রতিনিধি
চলতি রোপা আমন মৌসুমে রাজবাড়ী জেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা। কৃষকরা ফলনও ভালো পেয়েছেন। ফলন ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রাজবাড়ী জেলায় ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩ শত এক মেট্রিকটন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবছর জেলায় ৭৩ হাজার ৮ শত ৮৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।
এর মধ্যে, রাজবাড়ী  সদর উপজেলায় ২৩ হাজার ৫ শত ৫৫ হেক্টর, কালুখালি উপজেলায় ১৪ হাজার ১ শত ৯০, পাংশায় ১২ হাজার ৩ শত ২০, বালিয়াকান্দিতে ১১ হাজার ৫ শত ২০ ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ১২ হাজার ৩ শত ০.৪ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।
এবার পোকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে ধান কাটাও।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার কৃষক রাজেক জানান, এবছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়া ধানের খড়ও এখন গো খাদ্য হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করতে পারছে তাতেও বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা।
কালুখালি উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই জানান, আমরা পায়জাম ধানের আবাদ করেছিলাম। ধান পেকেছে, ধান কাটা শুরু করেছি। ফলনও ভালো পাচ্ছি। দামও বেশ ভালো। একই এলাকার কৃষক আশরাফুল জানান, আমি দানিগুল ধানের চাষ করেছি। এ ধান আগাম পাকে। ধান পেকেছে। কাটতে শুরু করেছি। এবার ধানের ফলন ভালোই পাচ্ছি।
রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুবোধ কুমার বিশ্বাস জানান, এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় পোকা-মাকড়ের সংক্রমণ দেখা যায়নি। ফলে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, এ চাষ সফল করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষিকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ, স্যার ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষকদের মাঝে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা প্রদান করেছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button