সারাদেশ

ধামইরহাটে এক আদিবাসী যুবককে অপহরণের পর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে এক আদিবাসী যুবককে অপহরণ করে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় আদিবাসী যুবককে উদ্ধার করে ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের বড়শিবপুর গ্রামের রবিয়া শিং এর ছেলে জহন লাল শিং পতœীতলার পাটিচরা ইউনিয়নের কাশিপুর মৌজার সুজন চৌধুরী’র একটি ইট ভাটায় কাজ করে, তিনি লেবার সর্দার। ২১ মার্চ দিনের বেলায় মঙ্গলবাড়ী বাজার থেকে ১০/১৫ টি মোটরসাইকেল আরোহী একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে লেবার সর্দার জহন লাল শিংকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে কাশিপুর ইটভাটায় নিয়ে সন্ত্রাসী শাহীন ও বাবুল জহন লালকে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করে। ফলে জহন লালের শরীরে নির্যাতনের ক্ষত চিহ্ন দেখা যায় ও কালো কালো দাগের সৃষ্টি হয়। জহন লালের স্ত্রী শ্যামলী রানী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান আলী ঘটনার বিষয়ে থানায় খবর দেন।

জহন লাল শিং জানান, তার হাত,পা-উরু-রানে লাঠি ও রড দিয়ে অমানবিক ভাবে মারপিট করে এবং পতœীতলায় নিয়ে গিয়ে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় সন্ত্রাসী বাহীরা।

ধামইরহাট থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বলেন, বিষয়টি জেনে তাৎক্ষনিক ভাবে পতœীতলা থানায় অবগত করি ও ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান আলী, ধামইরহাট এবং পতœীতলার থানা পুলিশের সহযোগিতায় জহন লালকে মধ্যরাতে উদ্ধার করা হয়, এ বিষয়ে ধামইরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীকে গ্রেফতারের জন্য ধামইরহাট-পতœীতলা থানা পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button