রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

ধুনটে করোনা পরিস্থিতির ফ্রন্ট লাইন ফাইটার শ্রাবণ

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি.
বগুড়ার ধুনটে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেচ্ছাসেবী হিসেবে ফ্রন্ট লাইন ফাইটার করোনা ও ধুনট পরিস্থিতির এডমিন সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ। করোনাকালীন মহামারী সময়ে একদিন থেমে নেই তার নিরলস প্রচেষ্টা।

আজ (৩১ মে) রবিবার ধুনট পৌরসভার করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির বাড়িতে ১০ দিনের খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস পৌছে দেন তিনি নিজেই। সকাল থেকেই বেশ কয়েকটি ফোন আসে আমিনুল ইসলাম শ্রাবণের কাছে। ফোনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন ধুনট পৌর এলাকার করোনায় আক্রান্ত লকডাউনরত নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে খাদ্য নেই। এক পর্যায়ে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যাক্তির নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে ফোন দেয় ফ্রন্ট লাইন ফাইটার করোনা ও ধুনট পরিস্থিতির এডমিন সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ। ওই ব্যাক্তি খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি সংসারের জরুরী কিছু জিনিসের প্রয়োজন বলে জানায়। পরে প্রথমে তার পরিবারের ১০ দিনের খাদ্য সামগ্রী, তারপর তার সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ফল, জরুরী কিছু ঔষধ, স্থানীয় হীরা নামের একজনের বাড়ি থেকে দুধ, ডিম ও শাক সংগ্রহ করে করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে পৌছে দেয় করোনা পরিস্থিতির ফ্রন্ট লাইন ফাইটার ও করোনা ও ধুনট পরিস্থিতির এডমিন সাংবাদিক আমিনুল শ্রাবণ। করোনা ও ধুনট পরিস্থিতির গ্রুপের স্বেচ্ছাসেবীগন তাকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করে।

করোনা ও ধুনট পরিস্থিতির এডমিন সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ জানান, দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে, সকাল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর জন্য কাছের, এলাকার এবং পরিচিত অনেককে ফোন করেছে ওই করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি। যারা নিয়মিত তাকে সহযোগীতা করে থাকে, শুধুমাত্র করোনার জন্য তার কাছাকাছি পর্যায়ে যেতে তারাও সাহস করেনি। আর এজন্যই অনেকের মাথায় আমাদের কথা (স্বেচ্ছাসেবী) স্মরণ হয়। এটাই আমাদের স্বার্থকতা। একজন অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করার অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। করোনা আক্রান্ত কোন ব্যক্তির চোখের পানি আজ আমি দেখেছি। যে মুখ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কথার মধ্যদিয়ে আমাদের হাসাতো, আজ তার চোখের পানি প্রমাণ করেছে আমরা কতটা অসহায়। জানিনা কবে এ ভাবে দূরে দাড়িয়ে নিজেকে একা একা কাঁদতে হবে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button