ধুনটে পুলিশ স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রীর আতœহত্যার চেষ্টা
ধুনটে পুলিশ সদস্য স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে শারমিন নামের এক বধুর আতœহত্যার চেষ্টা করেছে। রবিবার উপজেলার পাকুড়ি হাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়।
শারমিন আকতার জানান, উপজেলার জালশুকা গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে গুলশান ২ জোনের পুলিশ কনষ্টেবল বিজয় রহমান বাদল তার সাথে দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে গত ৪ মাস আগে বিজয় রহমান বাদল শারমিন আকতার কে বগুড়া মহাস্থান এলাকায় নিয়ে গিয়ে এক মৌলভী দ্বারা বিবাহ পড়ান। এরপর থেকে ধুনট পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে তারা সংসার শুরু করেন। ধুনট কলেজ রোড়ের আয়শা ক্লিনিকের পাশে শারমিনের নেওয়া ভাড়া বাড়িতে রবিবার রাতে পুলিশ সদস্য স্বামী রিজয় রহমান বাদল যায়। এরপর শারমিন বিজয়কে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করার জন্য চাপ দিলে বিজয় শারমিনকে মারধর করে । তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা বিজয়কে আটক করে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ধুনট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান জানান, শারমিন ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী এইজন্য তাদের বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বিজয় সেখান থেকে তার বন্ধুদের সাথে চলে যায় এবং শারমিনকে তার অভিভাবকের বাড়িতে নিয়ে যায়। সোমবার সকালে পরিবারের সবার অজান্তে শারমিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি শারমিনের মামাত বোন তহমিনা দেখে ফেলায় তাকে উদ্ধার করে ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে শারমিন ধুনট থানায় একটি অভিযোগে দিয়েছেন। এঘটনায় বিজয় রহমান বাদল গা ঢাকা দেওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিজয় রহমান বাদলের বিরুদ্ধে গুলশান ২ পুলিশ বিভাগের প্রশাসন শাখায় লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।