সারাদেশ

নওগাঁয় টিসিবির পন্য বিক্রিতে ডিলারের ঘাপলা

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় সরকারের ন্যায্যমূল্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ডিলারদের বিরুদ্ধে পন্য বিক্রয়ের নামে হরিলুট করার অভিযোগ উঠেছে। নওগাঁ শহরের দুইজন ডিলার শনিবার টিসিবি’র পন্য ভ্রাম্যমান ট্রাক সেল নিয়ে দু’জনের মধ্যে অসঙ্গি দেখা যায়। এক ডিলার বলছেন পন্য বিক্রি হয়েছে আলাদা জায়গায়। অপরজন বলছেন একই জায়গায় এক ট্রাক থেকেই পন্য বিক্রি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন।

জানাগেছে, নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বাজারদরের তুলনায় কম দামে দেশব্যাপী পণ্য বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। নওগাঁ শহরের দুই জায়গায় ভ্রাম্যমান ট্রাকে করে দুইজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিজন ডিলার প্রতিদিন তেল ২ হাজার লিটার, চিনি ১ হাজার ৫০০ কেজি এবং মসুর ডাল ১৫০ কেজি বিক্রি করেন। গত ৫ এপ্রিল (রোববার) বিকেলে ৪টা থেকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড কবিরাজের পাম্পে মেসার্স মুনসুর ট্রের্ডাস এবং শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে মেসার্স শাওন ট্রের্ডাসের পন্য বিক্রি করার কথা ছিল। ওইদিন শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড কবিরাজের পাম্পে মেসার্স মুনসুর ট্রের্ডাসের পন্য বিক্রি করা হলেও রাত ৮টা পর্যন্ত শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে মেসার্স শাওন ট্রের্ডাসের কোন পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি। একজন ডিলার প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার ২৫০ টাকার টিসিবির পন্য বিক্রি করে থাকেন।

এদিকে, রোববার দুপুর থেকে দুইজন ডিলারের সাথে যোগাযোগ করা হয় কোন কোন পয়েন্টে টিসিবির পন্য বিক্রি করা হবে। শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড কবিরাজের পাম্পে বিকেল থেকেই মেসার্স মুনসুর ট্রের্ডাসের পন্য বিক্রি শুরু হয়। মেসার্স শাওন ট্রের্ডাসের ডিলার শ্যামল জানান বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ট্রাক আসতে একটু দেরী হবে। তাকে আবারও ৬টার দিকে ফোন দেয়া হলে তিনি জানান ট্রাক থেকে পন্য বিক্রি শুরু হয়েছে। বিকেলে সাড়ে ৫টা থেকে রাত প্রায় ৮ টা পর্যন্ত বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেও কোন পন্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি। এ সময়ের মধ্যে টিসিবির কোন ট্রাক আসেনি এবং কোন পন্য বিক্রি হয়নি।

মেসার্স মুনসুর ট্রের্ডাসের ডিলার ইউনুছ আলী সুজন বলেন, ওইদিন একটি ট্রাক আসতে দেরী হওয়ায় দুইজন ডিলারে পন্য কবিরাজের পাম্পে বিক্রি করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসন অবগত আছেন।

মেসার্স শাওন ট্রের্ডাসের ডিলার শ্যামল বলেন, বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ওইদিন পন্য বিক্রি করা হয়েছে। তবে কবিরাজের পাম্পে দুইজন ডিলারের পন্য বিক্রি হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।

জেলা বাজার কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রোববার দুইজন ডিলারের বরাদ্দ আসছে। এরমধ্যে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড কবিরাজের পাম্পে বিকেলে একজন বিক্রি করেছেন। এছাড়া শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অপর একজন বিক্রি করার কথা থাকলেও রাত ৮টার দিকে পন্যের গাড়ি আসায় তা বিক্রি করা হয়নি।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশীদ বলেন, দুই জন ডিলারের পন্য এক সাথে একই জায়গায় বিক্রি করা হবে এমন তথ্য আমার এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অবগত না। তবে কোন অনিয়ম ছাড় দেয়া যাবে না। তদন্তে প্রমান হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button