নীলফামারীতে সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে সবজির দাম
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: বাজারে ব্যাপক সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও নীলফামারীতে শাকসবজি ও নিত্যপন্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগলের বাহিরে। জেলার অধিকাংশ কাঁচাবাজারে ৪০-৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে। যেন কমছেই না কাঁচা মরিচের ঝাল। পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি বন্যায় শাকসবজির ক্ষতি হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে। ফলে উর্ধ্বমুখী প্রতিটি সবজির দাম।
নীলফামারীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চাল-ডাল-পেঁয়াজ সহ দাম বেড়েছে সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের । আর দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা । যা ৩৫-৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে গত সপ্তাহে । বাজারগুলোতে বরবটি , করলা, ঝিঙে, কাচা পেঁপে, পটল, ঢেঁড়স ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, আলুর ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৩৫ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচা মরিচে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। লালশাক, মুলা শাক, পালংশাক, পুঁইশাক এর মোড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম । ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
সৈয়দপুর পৌর সবজি মার্কেটে বাজার করতে আসা শিউলি বেগম বলেন, আমি বেসরকারি একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করি। করোনায় দীর্ঘদিন ধরে বেতন – ভাতা বন্ধ কোন ভাবে ধার দেনা করে সংসার চলছে। চার দিন পর বাজারে এসে দেখি সব কিছুর দাম বেশি। এমনকি আগে দামাদামি করলে ৩ বা ৫ টাকা কমাতো দোকানদাররা। কিন্তু এখন কম রাখছেন না। এক দামেই বিক্রি করছেন। এটা দেখে কিছুটা অবাক লাগছে।
সবজির বাড়তি দাম নিয়ে নীলফামারীর পৌর বাজারের বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় দেশের সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে পাইকারি বাজারে সবজি কম আসছে, তাই দাম বাড়তি। আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।