রংপুর বিভাগসারাদেশ

নির্বাচনে কারচুপি হলে সরকারের পক্ষে সমর্থন ত্যাগ নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবো আমরা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: এরশাদের আমলে এদেশে কোন সন্ত্রাস ছিলনা। আমরা সন্ত্রাস করিনা, কাউকে করতেও দিবনা। সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে সৈয়দপুরের শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে ভোট কারচুপির চেষ্টা করবেন না। তাহলে বিএনপি’র মতো ভোট চোর বলতে বাধ্য হবো এবং সন্ত্রাসের উচিত জবাব দেয়া হবে। সরকারের বিরুদ্ধে এমন হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুরে জাপা’র মেয়র প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত গণ জমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম ভুঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ টি ইউ তাজ রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ তনজিল আহমেদ, ছাত্র বিষয়ক সহ সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু, কেন্দ্রীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, নীলফামারী জেলা যুবসংহতির সভাপতি রওশন মাহানামা, সাধারন সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ভুট্টু, সৈয়দপুর উপজেলা জাপা আহবায়ক ও সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, উপজেলা জাপা’র সদস্য সচিব জিএম কবির মিঠু, জাপা’র আহবায়ক ঠিকাদার আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাজের সদস্য রক্সি খান প্রমুখ।
জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, ভোটে কোন রকম অনিয়ম করা হলে সৈয়দপুরের পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জাতীয় পার্টির ঘাটি সৈয়দপুর থেকেই এ সরকারের সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে এরশাদের সৈনিকরা। ভোটারদের যদি ভোট দিতে বাধা দেয়া হয় তাহলে আওয়ামীলীগ বিরুদ্ধে বিএনপির করা ভোট চোর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে সমর্থন ত্যাগ করে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবো আমরা।
তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর তথা রংপুর অঞ্চল এরশাদের এলাকা। জাতীয় পার্টির আমলে দেশব্যাপী যে উন্নয়ন হয়েছে তা আর কেউ করতে পারেনি। সে সময় জাপা নেতা ইজাহার আহমেদ সৈয়দপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তার সময় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই সৈয়দপুর আজ এতো উন্নত। এরপর যারাই পৌর পরিষদে এসেছে তারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত ছিল। তাই ৩০ বছরে সেই সৈয়দপুরই রয়ে গেছে। এবার আমাদের প্রার্থী কে নির্বাচিত করেন। উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সৈয়দপুরের ইতিহাসে নাম লেখানো হবে।
মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রার্থী একজন শিল্পপতি এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ। তিনি নিজের উপার্জিত বৈধ অর্থায়নে একাধিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন। তারপর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। তাই মেয়র হয়ে তাকে আয় করতে হবেনা। বরং তিনি ব্যক্তিগতভাবে যে সাহায্য সহযোগীতা করেন তার সাথে সরকারী সুযোগ সুবিধা গুলোর মাধ্যমে জনগনের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। পাশাপাশি যেহেতু এখানে জাতীয় পার্টির এমপি রয়েছেন। তাঁর সহযোগীতায় বেশি বেশি করে উন্নয়ন কাজ করার মধ্য দিয়ে সৈয়দপুর কে একটি অত্যাধুনিক ও সমৃদ্ধ নগরীতে পরিনত করতে পারবেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button