রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

নীলফামারীতে মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে গৃহবধু হত্যার রহস্য উদঘাটন

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই গৃহবধু মিনা ওরফে সাথির হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং হত্যার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা আদলতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম হত্যাকান্ডের রহস্য এবং মামালার বিস্তারিত তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম মোমিন,জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আফজালুল ইসলাম,সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুন নবী এবং ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মে) পুলিশ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মনির উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছন থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ।
লাশ উদ্ধারের পর থেকেই জেলা পুলিশ,গোয়েন্দা বিভাগ, ডিবি পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমে পড়েন এবং মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তারা রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন।।
পুলিশ সুপার আরো জানান গত ২ বছর আগে ওই ইউনিয়নের হালিরবাজার এলকার গনেশ রায়ের ছেলে তিমোথির সাথে পার্শবর্তী দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জের শিবরামপুর ইউনিয়নের মৃত মোম্বল ঋষির মেয়ে মিনার সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই সংসার আশান্তি লেগে ছিল। এর অন্যতম কারন ছিল যৌতুক এবং সন্তান না হওয়া। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস ও হয়েছে।
তদন্তে জানা যায়, অন্য মেয়ের সাথে স্বামীর সম্পর্ক এবং ঘটনার দিন শ্বশুর কুপ্রস্তাব দেয়ায় ওই গৃহবধু বাবার বাড়ি দিনাজপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে স্বামী তিমোথি, শ্বাশুরী শিউলি এবং কাকী শ্বাশুরী মিনতি রানী মিলে মুখে ও যৌনাঙ্গে বালু ও কাদা ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা মিনার জ্বীনের আছর আছে বলে প্রচারনা চালিয়ে গ্রামে খোঁজাখুঁজি করার বাহানা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনা উদঘাটন করে জড়িতদের গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থিত করলে তারা তিনজনই লিখিত স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গৃহবধুর ভাই সুকুমার ঋষী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান আরও জানান শ্বশুর পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকেও গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button