অর্থনীতি

ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দর

পেঁয়াজের সঙ্কট থাকায় খুচরা বাজারে হু হু করে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। গিয়ে ঠেকেছে ৮০ টাকায়, যা মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। একই সাথে টিসিবি খুচরা ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। এতে করে কয়েক দিনের মধ্যেই ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা কেজিতে চলে এসেছিল পেঁয়াজ; কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে ফের ১০ টাকা করে বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যটির দাম। আবার বিক্রি হতে দেখা গেছে ৮০ টাকা কেজি দরে। তবে কিছুটা কমেছে আদা-রসুনের দাম।

ভারতে রফতানির কথা থাকলেও এর কোনো প্রভাব নেই ইলিশের বাজারে। ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় বরং সপ্তাহের ব্যবধানে নিম্নমুখী রয়েছে মাছটির দর। একইভাবে দাম কমেছে অন্যান মাছ ও বিভিন্ন সবজির। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে শাকের দাম। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এ চিত্র ধরা পড়ে।

রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট ও কাওরান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে কিছুটা কমেছে এ সপ্তাহে। এক সপ্তাহ আগে টমেটো ছিল ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। আর গাজর বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

একইভাবে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে পটোল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে। ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ও উস্তা ৪০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা (দেশী) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে শাকের দাম। প্রতি আঁটি লালশাক সাত থেকে ১০ টাকা, মুলাশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কুমড়াশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, লাউশাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকা এবং পুঁইশাক ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্য দিকে, পূজা উপলক্ষে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এরপরও ইলিশের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি; বরং দাম কমেছে কিছুটা। এসব বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার থেকে ১১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায় মিলছে। এ ছাড়া আকারভেদে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।

কিছুটা দাম কমে এসব বাজারে- প্রতি কেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, মৃগেল ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, চিংড়ি হরিণা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, বাগদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, গলদা ৫০০ থেকে এক হাজার টাকায়, শিং ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও বাইন ৪০০ থেকে ৮০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় আমদানি এখনো পরিপূর্ণ হয়নি। পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য দামও বেড়েছে।

মালিবাগ কাঁচাবাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বলেন, এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে যায়। তখন আমরা দেশী পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন আবার দাম বাড়তি। তবে বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ এলে দাম কমে যাবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, লেয়ার (সাদা) ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, লেয়ার (লাল) ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়। গরুর গোশত বিক্রি হতে দেখা গেছে ৫৫০ টাকা কেজি, খাসির ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। আর বকরি ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল ও ডিমের বাজার।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button