নিহত ওই টেম্পু যাত্রীর নাম আব্দুল খালেক (৬০)। তিনি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর সিঅ্যান্ডবি এলাকার বৈদ্যপাড়া সড়কের মুখে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতরা সকলেই বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিআরটিসির ডাবল ডেকারের একটি বাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সিঅ্যান্ডবি এলাকার বৈদ্যপাড়া সড়কে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি টেম্পুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে টেম্পুটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে দায়িত্বরত কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নাজমুল জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আটজন যাত্রীকে হাসপাতালে আনার পর আব্দুল খালেককে মৃত ঘোষণা করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে শাকিল আহমেদ (১৮), ফয়সাল (২৫) হৃদয় (২৫), ইলিয়াস (২৬), রাজিব (৪২) ও অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক শাহজালাল জানান, ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে, দুর্ঘটনার পর চালক ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হয়।
এ দিকে, বিআরটিসির বরিশাল ডিপো সূত্রে জানা গেছে, ডিপোর ছয়টি ডাবল ডেকার বাসের সবগুলোই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটির চালক ছিলেন সোহেল রানা।