খুলনা বিভাগসারাদেশ

প্রশাসনের নির্ধারিত স্থানে বসতে আগ্রহ নেই সবজি বিক্রেতাদের

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় করোনা সংক্রমণ রোধে স্কুলমাঠে সবজির বাজার স্থানান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই মাঠে বসতে নারাজ সবজি বিক্রেতারা। তিন দিন ধরে সবজি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তারা। বাজার না বসায় অতিরিক্ত দামে সবজি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

জানা গেছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে দীর্ঘ চার মাস স্কুলমাঠে বসে সবজি বিক্রি করেন বিক্রেতারা। এবারও উপজেলা প্রশাসন বাজার কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে করোনাকালীন সবজি বাজার হাইস্কুল মাঠে স্থানান্তর করেন। কিন্তু মাঠে যেতে নারাজ সবজি বিক্রেতারা। কাঁচা বাজার বন্ধ থাকায় গ্রামের সবজির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে বেশির ভাগ দোকানে পাটের শাক, বেগুন ও ঢেঁড়স রয়েছে। আর কোন সবজি নেই। এ সকল সবজিও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সবজি বিক্রেতা বলেন, হাই স্কুলমাঠে মানুষ হেঁটে আসতে চায় না। আমরা নিয়মিত রাস্তার পাশে ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসতাম। করোনা আসার কারণে আমরা মাঠে বসেছি। তবে রোববার হাটের দিন ছিল বিধায় আমরা আগের জায়গায় বসেছিলাম। কিন্তু উপজেলা থেকে লোক এসে আমদের মালামাল ফেলে দেয়, আমাদের টুকরি নিয়ে চলে যায়। তাই আমরা তিন দিন ধরে কোন সবজি নিয়ে বসিনি। আমরা নিয়মিত জায়গায় বসতে চাই। এই দাবি পূরণ না হলে আমরা সবজি নিয়ে বসবো না।

সবজির দাম বেশি কেন জানতে চাইলে পূর্ব ডামুড্যা থেকে সবজি নিয়ে আসা শুভ শেখ, মোতালেব আকন বলেন, খুচরা বাজারে দোকানি না থাকায় আমাদের এখানে অনেক চাপ পড়েছে। যে দামে বিক্রি করছে তাতে আমাদের সামান্য লাভ হচ্ছে।

কাউয়ুম, আনিস, হারুনসহ অনেক সবজি বিক্রেতা বলেন, সবজি না এলে আমরা কিভাবে বিক্রি করবো। আড়তদার সবজি আনে না। তাই আমরা বিক্রি করতে পারছি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ বলেন, রোববার ফুটপাত দখল করে সবজি বিক্রেতারা দোকান দেয়। আমরা সেটি উচ্ছেদ করে টুকরি ও চৌকি নিয়ে আসি। চর থেকে যে সবজি আসছে তাতে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। তবে নিয়মিত সবজি বিক্রি কেন বন্ধ রাখছে তা আমার জানা নেই।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button