সারাদেশ

বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় গত এক সপ্তাহ যাবৎ কেউই মানছেন না সরকারি নির্দেশনা

দুপচাঁচিয়া(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ কোভিট-১৯ নোভেল করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ২৬মার্চ থেকে ২৫এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষনা সহ মানুষের জরুরী প্রয়োজনে কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান জরুরী পন্যবাহী যানবাহন ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণ পরিবহন বন্ধ সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগীর সনাক্ত না হলেও এ উপজেলায় গত এক সপ্তাহ যাবত সকল নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্বাভাবিক সময়ের মতোই ব্যাটারী চালিত রিকশা-ভ্যান, অটোভ্যান, সিএনজি চালিত অটোরিকশা সহ অধিকাংশ দোকানপাট ভোর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অবাধে চলছে। মসজিদ গুলোতে নিয়মের বাহিরে অধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করছেন। ফুটপাতে দু-একটি চায়ের দোকান খোলা সহ বড় বড় ফ্লাস্কে করে উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করছেন। কিছু কিছু জায়গায় চা খাওয়ার জন্য ভীড়ও জমাচ্ছেণ সাধারণ মানুষ। থানা পুলিশ প্রশাসন গত ১মাস ধরে নিরলস পরিশ্রম করে মানুষকে সচেতন করা সহ সরকারী নির্দেশনা মানার জন্য চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছেন না। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন উভয় সংকটের মধ্যে পড়েছেন। পুলিশ মানুষকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ার কিছুক্ষন পরই আবার একই অবস্থানে জনসাধারণ সামাজিক দূরত্ব না মেনে সবকিছু পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তবে পুলিশ যদি কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হবে। মাঝে মাঝে এ উপজেলায় প্রধান সড়কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল পরিচালনা করেন। তখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা চলে গেলেই পরিস্থিতি আবারও পূর্বের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যায়। এদিকে ব্যাংকগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে উপচেপড়া ভীড়ের মধ্যেই লেনদেন চালু রয়েছে। এতে মানুষের মধ্যে আইন না মানারও প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকার সচেতন নাগরিকরা শংকিত হয়ে গণমাধ্যম কর্মী সহ সংশ্লিষ্ট এ বিষয়ে বার বার অনুরোধ করছেন।
থানার অফিসার ইনচার্চ মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমি সহ আমার পুলিশ প্রশাসন দিনরাত মানুষকে বুঝিয়ে ঘরে রাখা সহ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন বলেন, দোকান খোলার বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন দোকানীর ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সেই সাথে দোকান না খোলা সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ঘরে থাকার জন্য সার্বক্ষণিক সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button