রংপুর বিভাগসারাদেশ

বুড়িমারীতে চালু হচ্ছে ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’

লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর খুব দ্রুত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর স্থলবন্দর হিসেবে চালু হতে যাচ্ছে। বুড়িমারী স্থলবন্দর দেশের দ্বিতীয় ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ এর আওতায় আসবে। ‘মুজিববর্ষে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের নেয়া একশ ডিজিটাল সার্ভিসের মধ্যে এটিও একটি ডিজিটাল সেবা। দেশে সর্বপ্রথম ‘ই -পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে।

জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দরে ‘ই -পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ই পোর্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করতে সফটওয়্যার পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। দু’দিন ধরে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বুড়িমারী বন্দর গড়ে তুলতে সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমের সহকারী কমিশনার সোমেন কান্তি চাকমা বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (সদস্য ট্রাফিক) যুগ্ন সচিব ড. শেখ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এ টু আই প্রকল্পের জাতীয় পরামর্শদাতা (ন্যাশনাল কনস্যালট্যান্ট) অনিমেষ চন্দ্র বাইন, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার সৈয়দ মো. অলিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহা. রাশেদুল হক নবী, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি রুহুল আমীন বাবুল, কাস্টমস্ সহকারী কমিশনার (এসি) সোমেন কান্তি চাকমা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ভুইঞা ই পোর্ট সিস্টেম চালু করতে সোমবার বিকেলে বৈঠক করেছে। এসময় সেখানে পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত, বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমদানি- রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাতসহ বন্দর ব্যবহারকারী ও স্থলবন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত জানান, ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দরের কার্যক্রম পরিচালিত হলে বন্দরে কাজের গতি বাড়বে। বন্দরের সবকিছুতেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আসবে। দুর্নীতি ও রাজস্ব ফাঁকির সকল ফাঁক ফোঁকর চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে স্থলপথে পণ্য আমদানি- রপ্তানি কার্যক্রম সহজতর, গতিশীল, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ, সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট, আমদানি- রপ্তানিকারকগণ ব্যবসায়ীরা সুফল পাবে ও টিসিভি (টাইম-কস্ট-ভিজিট) হ্রাস পাবে। ‘ই -পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’- এর মাধ্যমে কার্গো এন্ট্রি, ওজন নির্ধারণ, ভারতীয় গাড়ি চালকদের নিরাপত্তা গেট পাস, ই- পোর্ট মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বন্দরে আমদানিকৃত পণ্যের অবস্থান ট্রাকিং ও বিল সংক্রান্ত তথ্যাদি মনিটরিং, স্বয়ংক্রিয় বিলিং, পণ্যের পোস্টিং, গেট পাস, অনলাইন ডেলিভারী, পণ্যের ডাটাবেজ সিস্টেমসসহ ১৫টি বিষয়ে সর্বাধুনিক ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি পদ্ধতি ব্যবহার করে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনা হবে।”

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button