রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও হিলিতে দাম কমছে না

চালের দাম সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও স্থানীয় বাজারে চালের দাম কমছে না। হঠাৎ করে হিলি খুচরা বাজারে আমদানিকৃত প্রতিকেজি চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে । এতে করে চাল কিনতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারন ক্রেতাদের ।
হিলির খুচরা বাজারে দেখা যায়,ভারত থেকে আমদানিকৃত সকল প্রকার চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। রতœা জাতের চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৬। ৫০ টাকার মিনিকেট চাল কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা চালের দামও বেড়েছে ।
চাল কিনতে আসা পাইকারী ক্রেতা আকবর হোসেন জানান, চাল আমদানির কথা শুরুর সময় চালের দাম কমেছিলো। এখন আবার তা বাড়ছে। দাম বাড়ায় আমাদের চাল কিনতে এসে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমদানি হওয়ার পরও কারা চালের দাম বাড়াচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান তিনি।
বাজারের চাল বিক্রেতা স্বপন কুমার জানান,আমদানি শুরুর প্রথমদিকে বাজারে চালের দাম কিছুটা কম ছিলো। দুই/ তিন দিন থেকে চালের দাম প্রকারভেদে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। আমরা স্থলবন্দরের আমদানিকারকের কাছ থেকে বেশি দামে কিনছি তাই বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক অভিনাশ দাস জানান, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর একসাথে অনেক গুলো প্রতিষ্ঠান আমদানি শুরু করায় ভারতে চালের চাহিদা বাড়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে ট্রাকের ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুন। যার প্রভাব আমদানিকৃত চালের দামের উপর পড়ছে।
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের গণসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) সোহরাব হোসেন জানান, চালের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়করণ ও বাজারজাত করতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
হিলি কাষ্টমসের তথ্যমতে, চাল আমদানি শুরুর পর থেকে ভারত থেকে ৪শ ৬টি ট্রাকে ১৬ হাজার ৪শ ১৬ মেট্রিক টন চাল আমদানি হলেও বন্দর থেকে চাল খালাস হয়েছে ১৪ হাজার ৭শ ৬ মেট্রিক টন চাল। যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ১৩ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button