খুলনা বিভাগসারাদেশ

মণিরামপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: মণিরামপুরে পারিবারিক কলোহের জের ধরে আসমা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে, নিহতের শশুর পরিবারের দাবী সামান্য ঝগড়ায় স্বামীর উপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনার আগেই নিহতের স্বামীসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। রবিবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের নতুন হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া আড়ু–য়া এলাকার মুনছুর সরদারের কন্যা আসমা খাতুনের ১০ মাস পূর্বে বিয়ে হয় মণিরামপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মাজিদের পুত্র হাবিবুল্লাহর সাথে।

নিহতের চাচা আব্দুল মান্নান জানান, কিছুদিন পূর্বে তার ভাইঝি আসমার এ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করা হয়। অসুস্থ্য অবস্থায় সে স্বামীর বাড়িতে থেকে সাংসারিক কাজকর্ম করে আসছিল। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সাংসারিক কাজ নিয়ে স্বামী হাবিবুল্লাহ অসুস্থ্য আসমার অপারেশন স্থানে কয়েকটি লাথি মারে।

এরপর তাকে লাঠি দিয়ে পেটালে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায় ঘটনা বেগতিক দেখে স্বামীসহ শশুর পরিবারের লোকজন আত্মহত্যার প্রচার চালাতে তার মরদেহ ঘরের আড়ায় ওড়ানা দিয়ে ঝুলিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি মেম্বর আব্দুল আজিজ গোলাম নিহতের শশুর পরিবারের পক্ষে দাবী করেন, তিনি শুনেছেন সামান্য মারপিটে স্বামীর উপর অভিমান করে হাবিবুল্লাহর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের চাচা আব্দুল মান্নান বলেন, তার ভাইঝি আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাকে অপারেশন (অসুস্থ্য) অবস্থায় এলোপাতাড়ি মারপিটে তার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে গতকাল রবিবার বিকেলে পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে আসমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। জানতে চাইলে, মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উক্ত ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এদিন রাতে নিহতের শশুর বাড়ি থেকে পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা গরু-ছাগলসহ অন্যান্য মালামাল অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button