সারাদেশ

মহাদেবপুরে বেড়েছে মোটরসাইকেল চুরি

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে মোটরসাইকেল চুরির প্রবনতা বেড়েছে। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হলেও মোটরসাইকেল উদ্ধার ও অপরাধীদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে মোটরসাইকেল মালিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় চুরির প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতনরা।

জানা গেছে, মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ফণী ভূষণ মহন্ত রেজিস্ট্রেশন বিহীন লাল রং এর পালসার ১৫০ সিসি ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান তার ব্যবহৃত লাল রং এর হিরো ডিলাক্স (নওগাঁ-হ-১৩-৭৯৩২) ১০০ সিসি মোটরসাইকেল নিয়ে ডাকবাংলো মাঠে বিজয় দিবসের (১৬ ডিসেম্বর ২০১৯) অনুষ্ঠান দেখতে যান। তারা মাঠের পাশেই উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলো চত্বরে মোটরসাইকেল দুটি তালা দিয়ে রেখে অনুষ্ঠান দেখতে থাকেন। এ সময় ওঁত পেতে থাকা চোরেরা সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল দুটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফণী ভূষণ মহন্ত ও মিজানুর রহমান মহাদেবপুর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেন।
অপরদিকে, গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে থেকে উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে বিলাস এর ডিসকভার (নওগাঁ-হ-১২-০১৯৫) ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ জানুয়ারি বিলাস বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৩৫। মামলা দায়েরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ওই মোটরসাইকেলটি চোরেরা কিভাবে চুরি করেছে তা সিসি টিভিতে দেখা গেলেও পুলিশ চোরকে সনাক্ত করতে পারেনি। উপজেলা চত্বর থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সরকারি অফিসে সেবা নিতে আসা মোটরসাইকেল মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এছাড়াও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় অহরহ ঘটছে চুরির ঘটনা।
ইতোপূর্বে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানস্থল থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। মোটরসাইকেলগুলো দীর্ঘদিনেও উদ্ধার না হওয়ায় দায়িত্বশীলদের ভূমিকা নিয়ে চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় সচেতন মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, জাতীয় বিভিন্ন দিবসের অনুষ্ঠানে ব্যাপক নিরাপত্তা থাকার পরও কীভাবে চুরি হয়? মূলত থানা পুলিশের গাফিলতির কারণে সক্রিয় ভূমিকা রেখে নির্ভয়ে মানুষের সর্বনাশ করে যাচ্ছে চোর চক্রের সদস্যরা।

উপজেলা সদরের বাসিন্দা সাইফুর রহমান বলেন, উপজেলা চত্বরে মোটরসাইকেল রেখে সরকারি অফিসে সেবা নিতে গেলে মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত চলছে। আশাকরছি শিগগিরই একটা ভালো ফল পাওয়া যাবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button