রংপুর বিভাগসারাদেশ

মুমূর্ষু অবস্থা নীলফামারীর আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: ১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নীলফামারীতে স্থাপিত আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। মা হাঁস থেকে উৎপাদিত বাচ্চা ফুটানো ও বাজারজাত করার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয় খামারটি। কিন্তু লোকবল ও সরকারী বরাদ্দ না থাকায় খামারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমস্যা সমাধান করা গেলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি পোল্ট্রির শিল্পের উন্নয়নে খামারটি বড় অবদান রাখবে।
নীলফামারী প্রানী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে নীলফামারী শহরের মেলারডাঙ্গায় ৮ বিঘা জমির ওপর উল্লেখিত পরিমান টাকা ব্যায়ে ওই খামারটি স্থাপিত হয়। দৈনিক ২৮ হাজার ডিম ফুটানোর ক্ষমতা থাকলেও আর্থিক ও লোকবল সংকটে তা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে খামারে বড় হাসের সংখ্যা ৪৮৯ টি। এর মধ্যে হাঁসা ৭৪ এবং হাঁসী ৪১৫ টি। বাচ্চা রয়েছে ৭৭৮ টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪০ হাজার বাচ্চা এবং ৯০ হাজার ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ৩ মাসে ডিম উৎপাদিত হয়েছে ২৪ হাজার ৮৫২ এবং বাচ্চা উৎবাদিত হয়েছে ১৪ হাজার ১০ টি। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার ৬৫ শতাংশ ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ধস নামে খামারটিতে। খামারের অধিকাংশ শেড ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় এ অঞ্চলের খামারিদের চাহিদা অনুযায়ী বাচ্চা সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খামারে বিশাল আকৃতির সাতটি শেড রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ছয়টি শেডই পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। শেডে রাখা হয়েছে অপ্রয়োজনীয় মালপত্র। খামার জুড়ে করা হয়েছে সবজি বাগান।
খামারে বাচ্চা নিতে আসা সদর উপজেলার টুপামারি ইউনিয়নের আনিছ চৌধুরী বলেন, খামারটি এখন নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ সময় আমাদের বাচ্চা দিতে পারে না। এই অঞ্চলের পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে তেমন কোনও কাজে আসছে না এটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খামারের একাংশের এক অফিস সহকারী বলেন খামার চালাতে যা যা প্রয়োজন সবাই আছে, নেই শুধু সরকারি বরাদ্দ। শুরুতে ১১ জন স্টাফ দিয়ে খামারটি চলতো। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বেতন ভাতা বন্ধ হওয়ায় ৭জন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এখন মাত্র ৪ জন দিয়ে কোনোরকমে চালানো হচ্ছে। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। শুধু চাকরি সরকারিকরণের আশায় তারা এখানে পড়ে আছেন।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ও আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. শাহিদুল ইসলাম বলেন, খামারটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এটি সচল করা গেলে এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অল্প দামে বাচ্চা ক্রয় করে ছোট-বড় খামার করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
পুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজী বন্ধে সড়ক অবরোধ
রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে জেলা বাস -মিনিবাস সাধারণ শ্রমিকরা। সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রায় দু’ঘন্টা ব্যাপি ওই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবোরধকারীরা জানায়, রংপুর মেট্রো পুলিশের আওতাধীন ট্রাফিক বিভাগের কিছু অসাধু সদস্য দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে তাদের হয়রানি করে আসছে। বিমানের যাত্রী আনা নেয়াকালে সকল কাগজ পত্র ঠিক থাকার সত্বেও মাঝে মধ্যেই রংপুর মেডিকেল কলেজ মোড়ে সৈয়দপুরসহ নীলফামারীর কার, মাইক্রো ও মিনিবাস ড্রাইভারদের কাছ থেকে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা দিতে না চাইলে দেযা হচ্ছে বিভিন্ন ধারায় মামলা। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরও প্রতিকার না পেয়ে সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি। দীর্ঘ দু’ঘন্ট চলা ওই অবরোধে সকল যানচলাচল বন্ধ থাকে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল রংপুর মেট্রো পুলিশ সুপারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন। রংপুর পুলিশ সুপার তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button