খুলনা বিভাগসারাদেশ

নিষিদ্ধ পল্লী থেকে উদ্ধারের পর পুনরায় সেখানে ফিরে যাওয়া

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: দারিদ্র স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দিল না তরুণীকে। নিষিদ্ধ পল্লী থেকে উদ্ধার হওয়ার পর তিনি আবারও ফিরে গেলেন তার অন্ধকার জীবনে। ওই তরুণী রাজবাড়ী সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ছয় বছর আগে তিনি এ অন্ধগলিতে পা রেখেছিলেন।
জানা গেছে, মেয়েকে যৌনপল্লীতে জোর করে আটকে রেখে দেহব্যবসা করানো হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তাকে উদ্ধারের জন্য সম্প্রতি রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছিলেন ওই তরুণীর মা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে তাকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বেবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
এরপর খবর দেয়া হয় তার পরিবারের লোকজনকে। থানায় ছুটে আসেন অসহায় বৃদ্ধ বাবা ও ছোট ভাই।
থানায় সংবাদকর্মী ও পুলিশের সামনে উদ্ধার হওয়া তরুণী বলেন, আমাকে কেউ পল্লীতে জোর করে আটকে রাখেনি। আমি সেখানে ভালোই ছিলাম। আবারও সেখানে ফিরে যাব।
কেন ফিরে যাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়িতে আমার ছয় বছর বয়সী একটা প্রতিবন্ধী ছেলে রয়েছে। এছাড়া বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাই তার ওপর নির্ভরশীল। আমি বাড়িতে গেলে সবাইকে না খেয়ে মরতে হবে।
তরুণী আরও জানান, অল্প বয়সে বাবা-মা একটা ছিঁচকে চোরের সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায়ই সে আমাকে মারধর ও নির্যাতন করতো। খুবই মানসিক অশান্তির মধ্যে ছিলাম। ভেবেছিলাম বাচ্চা হলে সে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু প্রতিবন্ধী বাচ্চা হওয়ার পর সে আমার ওপর অত্যাচার আরও বাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে বেঁচে থাকার তাগিদে নিজেই পল্লীতে গিয়ে নাম লেখাই। আর অবশেষে শনিবার (১৪ই নভেম্বর) তিনি আবারো ফিরে যান নিষিদ্ধ পল্লীর অন্ধকার জীবনে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button