শেরপুরে তিন শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে থানায় মামলা : লম্পট গ্রেফতার
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের মধ্যে নিয়ে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি দেখানো হয় তিন শিশুকন্যাকে। এসময় ওই শিশুদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়াসহ যৌন হয়রানি চেষ্টা চালায় লম্পট যুবক জুয়েল রানা। পরে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় এলাকাবাসী ওই লম্পটকে আটক করে। এরপর গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার (১৮জুলাই) রাতে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী এক শিশুর মা রোজিনা খাতুন বাদি এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বিরইল গ্রামের মোক্তার হোসেনের শিশু কন্যা খাদিজা খাতুন (৭), ফরিদুল ইসলামের কন্যা রিয়া খাতুন(৭) ও হাফিজুর রহমানের মেয়ে জান্নাতি খাতুন (৮) গত ১৪ জুলাই বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির বাহিরে একসঙ্গে খেলাধুলা করছিল। এমন সময় পার্শবর্তী ছোনকা গয়লাপাড় গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা ওই শিশুকন্যাদের চকলেট খাওয়ানোর নামে তার শয়ন ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। কৌশলে ওই শিশুদের অশ্লীল ভিডিও দেখায় এবং তাদের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত ও চুম্বন দিয়ে যৌন হয়রানি করতে থাকে। এসময় শিশু জান্নাতি খাতুন চিৎকার দিয়ে বাহিরে এসে তার নানী রিনা বেগমকে জানালে সে ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানায়। এতে প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে লম্পট যুবক জুয়েল রানা আটক করে গণধোলাই দেয় এবং অন্যান্য শিশু কন্যাদের পিতা-মাতাকে জানায়। পরে যৌন হয়রানির শিকার শিশু কন্যাদের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে রোজিনা খাতুন থানায় উপস্থিত হয়ে জুয়েল রানাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি রোজিনা খাতুন বলেন, জুয়েল ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন শিশুকন্যাকে যৌন হয়রানি করেছে। তাই তার দৃষ্টান্তমূলকত শাস্তি কামনা করছি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, লম্পট জুয়েল রানার বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত লম্পট যুবককে গ্রেফতার করে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।