খুলনা বিভাগসারাদেশ

শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মনিরাপুরে প্রতিমন্ত্রীর এপিএস সহ পাঁচজনের নামে মামলা

যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: যশোর মণিরামপুর উপজেলায় আইন শৃংখলা কমিটির সভার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে-প্রতিমন্ত্রীর এপিএস সহ পাচ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের মাননীয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এর এপিএস,মনিরামপুর উপজেলার দুই ভাইস চেয়ারম্যান, ও দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নামে শ্লীলতাহানি ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করেছেন মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খাতুন।
আদালত বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবার জন্য যশোর পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২৭ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে এই মামলাটি করেন মনিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা বেগম।
মামলার আর্জিতে জানান, তিনি নির্বাচিত হবার পর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্ণীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে উপজেলা প্রশাসন পরিচালনা করতে থাকেন। এতে দুর্ণীতিবাজরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হতে থাকে। করোনা কালিন সময়ে ৫৫৫ বস্তা ত্রানের চাল চুরির ঘটনা সারা দেশে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এর পাঁচ আসামীও আটক করে পুলিশ। উপজেলা চেযারম্যান এই চাল চুরির সাথে সমবায় প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে ও উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জড়িত আছে বলে অভিযোগ করেন। পরে আটক পাঁচ আসামী এই চাল চুলির সাথে মন্ত্রীর ভাগ্নে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দিও দেয়। এই ঘটনায় দুর্ণীতিবাজরা ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২২ জুলাই মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃংক্ষলা কমিটির সভায় ৯নং ঝাপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুুল হক মন্টু বিধি বর্হিভুত বিষয়ে আলোচনা তুলে সভার পরিবেশ ইচ্ছাকৃত ভাবে নষ্ট ও পন্ড করে। এক পর্যায়ে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাদির ওপর চড়াও হবার চেষ্টা করে। আসামীদের অপতৎপরতা বুঝতে পেরে বাদি সভা স্থল ত্যাগ করার সময় আসামীরা অশ্লীল ভাষায় গলিগালাজ ও বাদির কাপড় ধরে টানাটানি করে শ্লীলতা হানি ঘটায়। এই পরিস্থিতির মধ্যে বাদি উপজেলা থেকে বের গাড়িতে উঠার সময় তার হাত ব্যাগ থেকে মূল্যবান কাগজপত্র ও ১৮ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন পড়ে গেলে ৩নং আসামী সেটি নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন। বাদি নাজমা বেগমকে সন্ত্রাসীর হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে আসামীরা বাদির সহকারি নয়নকে মারপিট করে। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
এই মামালার আসামীরা হলেন, ৯ নং ঝাপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু, ৩ নং ভোজগাতি ইউনিয়নের চেয়রম্যান আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জলি আকতার, সমবায় প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, ও প্রতিমন্ত্রীর এপিএস কবির খান।
এব্যাপার এ প্রতিমন্ত্রীর এপিএস কবির খান বলেন, আইন শৃংখলার সভায় আমি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্যরে পাশেই ছিলাম। আমি সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সভাস্থল উপজেলা মিলনায়তনের ভিতরে ছিলাম, বাইরে কি হয়েছে কিছুই জানিনা। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিহিংসার বশবতি হয়ে আমার নামে মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে আসামী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু ও মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button