সারাদেশ

সরকারি সহায়তা না পেলে একটা ইটও বসানো যেত না:  সিটি মেয়র

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে নগরে কোন ডাস্টবিন থাকবে না। আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরের সাড়ে ১৩শ’ ডাস্টবিনের মধ্যে প্রায় ৬শ’ অপসারণ করা হয়েছে ।

ময়লা আবর্জনা এলাকা থেকে সংগ্রহ করে সরাসরি স্টেশনে ডাম্পিং করা হচ্ছে। আগামীতে একই ধারাবাহিকতায় সংগ্রহকৃত ময়লা আবর্জনা সরাসরি স্টেশনে ডাম্পিং করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একদিনে সবকিছু করে ফেলা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে সকল কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মেয়র বলেন, বছরে করপোরেশনের ব্যয় ২৭০ কোটি টাকা। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ধার্যকৃত পৌরকর ১৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে গতবছর ১২৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী যদি প্রকল্প সহায়তা না দিতেন তাহলে একটা ইটও বসানো যেত না। সরকার দুটো প্রকল্প জিরো ম্যাচিং ফান্ডে অনুমোদনের পরও অন্যান্য প্রকল্প বাবদ প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা ম্যাচিং ফান্ড পাওনা রয়েছে।
তিনি শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে  ৩০ নম্বর মাদারবাড়ি ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন মাঠে কাউন্সিলর মাজহারুল ইসলামের আয়োজনে জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশন পঞ্চম পরিষদের চার বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মেয়র আরও বলেন, করপোরেশনে সমস্যার পাহাড় জমেছিল। আস্তে আস্তে সেগুলো সমাধান করা হচ্ছে। নগরে এলইডি লাইট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নগরবাসীকে শতভাগ আলোকায়ন সেবা নিশ্চিত করতে সাম্প্রতিক সময়ে ২৬০ কোটি টাকার এলইডি আলোকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়ে প্রশাসনিক অনুমোদনও পাওয়া গেছে। এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

তিনি বলেন, ১৯৯৫ সাল ২০১৪ সাল পর্যন্ত নগরে ২৫৫০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আর এই চার বছরে প্রায় ২৭শ’ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে।  আরো প্রায় ২৩শ’ কোটি টাকার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। আপনারা যদি আমাদের উপর আস্থা রাখতে পারেন, আমাদেরকে সুযোগ দেন তাহলে ক্লিন এবং গ্রিন সিটি শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

কাউন্সিলর মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংরক্ষিত কাউন্সিলর নিলু নাগ, সাবেক  সংরক্ষিত কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

এ সময় মাদারবাড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইবনে আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর  জহির আহম্মদ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, দারোগাহাট মহল্লা কমিটির সভাপতি  অ্যাডভোকেট মো. আবদুস ছবুর, নছু মালুম মহল্লা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সর্দার, মাঝিরঘাট সমাজকল্যাণ সভাপতি আবদুল মতিন,  চসিক সাবেক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল ইসলাম, চিত্রনায়ক পংকজ বৈদ্য সুজন, কামাল গেইট মহল্লা কমিটির সভাপতি  মোহাম্মদ সোলায়মান, উত্তর নালাপাড়া সর্দার মোহাম্মদ ইলিয়াস, সমতা মহল্লা কমিটি সভাপতি জাফর আহাম্মদ, সমতা মহল্লা কমিটির উপদেষ্টা সৈয়দ শওকত আহমদ, পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ড সালিশ কমিটির সদস্য  মো. আজিজুর রহমান, দক্ষিণ নালাপাড়া সমাজকল্যাণ পরিষদ সভাপতি মো. শাহাব উদ্দিন চৌধুরী, পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ড সালিশ কমিটির সদস্য এম এ মালেক, মাঝিরঘাট সমাজ উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি  নূর মোহাম্মদ, স্টেশন কলোনি সমাজকল্যাণ পরিষদ সভাপতি  জহির উদ্দীন, মাদারবাড়ি ওয়ার্ড সালিশ কমিটির সোলায়মান,  সুবল চন্দ্র দাস, রেলী মহল্লা কমিটির আবদুল গফুর সর্দার, মাদারবাড়ি মহল্লা কমিটির সৈয়দ শওকত আহমদ, অ্যাডভোকেট আশীষ কুমার চৌধুরী, মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, আনোয়ারুল আলম, মাইজপাড়া সর্দার রুহি দাশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button