জাতীয়লিড নিউজ

অনেক কষ্ট চেপে দেশকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক কষ্ট, ব্যথা-বেদনা বুকে চেপে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের মানুষ যেন একটু সুখের মুখ দেখে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে- সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ও সংসদের সমাপনী অধিবেশনের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ সামনে রেখে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

বলেন, কারও প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে চলি না বা প্রতিশোধ নিতেও যাইনি। প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি-সন্ত্রাস ও ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরে দেশবাসীকে এদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদক ও ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি, কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা, নানা ষড়যন্ত্রসহ বৈরী অবস্থা মোকাবেলা করেই আমরা দেশকে সব দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনা প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

এদিকে, রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের নবমতলায় সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ হাসিনা সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রী-এমপিদের অনুপস্থিতির বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপনে অতি উৎসাহী কিংবা বাড়াবাড়ি যেন না হয় সেজন্য দলের সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সংসদে আলোচনার শেষ দিনে আরও বক্তব্য রাখেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। পরে স্পিকার তার সমাপনী বক্তব্য শেষে একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় বলেন, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণের মধ্য দিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র ও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন। প্রত্যেক এমপি এই ভাষণ ভালোভাবে পড়লে দেশের জন্য আমরা যে উন্নয়ন করেছি তা জানতে পারবেন। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা সর্বজনস্বীকৃত।

আগে মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। আগে বাংলাদেশকে অনেকে করুণার চোখে দেখত, কিন্তু এক দশকে সেই অবস্থান পরিবর্তন করতে পেরেছি। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

এত উন্নয়ন যদি কেউ না দেখে, সেটা তাদের দেখার ভুল। আমরা তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন করেছি, যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে। বিরোধী দল উপস্থিত থেকে সংসদকে প্রাণবন্ত করে রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝে মধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে, আমরা দ্রুত সমাধান করছি।

নতুন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি। এয়ারপোর্টসহ সব জায়গায় বিদেশ থেকে আগতদের পরীক্ষা করা হচ্ছে, যেন কেউ নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে দেশে আসতে না পারে। ডেঙ্গু সমস্যা সমাধানে দেশবাসীকে নিজেদের বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করার অনুরোধ করব।

নিজেরা ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করতে পারলে মশার উৎপাদন হবে না। ধর্ষকরা পশুরও অধম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ করে তারা মানুষ নামে পশু, এরা পশুরও অধম। তাদেরও তো মা-বোন-মেয়ে আছে। এমন জঘন্য চরিত্রের মানুষ কীভাবে হতে পারে?

জঙ্গিবাদ-মাদক-ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। দেশবাসীও যেন এদের ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। রমজান এলেই অনেকে অনেক খেলার চেষ্টা করে। কেউ যেন গুজবে আতঙ্কে না পড়েন। আমরা এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। চীনে সৃষ্ট সমস্যার কারণে বিকল্প পথ খুঁজছি, তাই আতঙ্কের কিছু নেই।

সংসদ নেতা বলেন, দেশে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়নের ওপরে আছে, অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী। ব্যাংকে টাকার কোনো সমস্যা নেই। প্রণোদনা দিচ্ছি বলেই ১৮ বিলিয়ন রেমিটেন্স এসেছে। সামাজিক নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাপকভাবে হচ্ছে। টাকা যদি নাই থাকত তবে এত উন্নয়ন হচ্ছে কীভাবে?

১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ দশমিক ৫ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি। এটাও দেশের জন্য বড় অর্জন। বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কিছু ক্ষেত্রে তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন।

কিন্তু রাষ্ট্রপতির ভাষণ যদি উনি ভালো করে পড়েন, তবে হতাশ না হয়ে উজ্জীবিত হবেন। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি, তথ্যপ্রযুক্তি বিদেশে রফতানিও শুরু করেছি। কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছি। কর্মসংস্থানের জন্য স্বপ্রণোদিত কর্মোদ্যোক্তায় পরিণত করতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রেখেছি।

বিপুল টাকা খরচ করে বিদেশে যায়, কিন্তু চাকরির গ্যারান্টি নেই। যারা ভুল পথে যায়, দালালের খপ্পরে পড়ে তারাই বিপদে পড়ে। এত টাকা খরচ করে বিদেশে না গিয়ে দেশেই বিনিয়োগ করে একেকজন কর্মোদ্যোক্তায় পরিণত হতে পারে।

বিএনপি-জামায়াত-জাতীয় পার্টি সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে ’৮৮ সালে আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস করে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। এসব বৈরী অবস্থা মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এটা শুধু আমরা বলছি না, বিশ্বের বড় বড় গবেষকও তা স্বীকার করছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ হচ্ছে বিনিয়োগের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জায়গা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ থেকেই অর্থনৈতিকভাবে আমরা এগিয়ে রয়েছি।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করব। জাতির পিতার নাম এক সময় ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল, ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। বিশ্বদরবারে মানুষ মাথা উঁচু করে চলবে।

দেশের মানুষকে সুন্দর জীবন দিতে সারাটা জীবন কষ্ট করে গেছেন জাতির পিতা, তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। অথচ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার না করে পুরস্কৃত করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক-রশীদকে সংসদে বসিয়েছেন, বিরোধী দলের নেতা পর্যন্ত বানিয়েছেন। জেনারেল এরশাদও ফ্রিডম পার্টি গঠন করে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনিকে রাষ্ট্রপতির প্রার্থী করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে তা আমি জানি। সব ব্যথা বুকে চেপে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। একটাই কারণ, আমার বাবা জাতির পিতা দেশের মানুষের জন্য সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে সব জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছেন।

তাই আমি নিজের সুখের কথা চিন্তা না করে দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, তারা যেন সুখের মুখ দেখে। দেশটা যেন এগিয়ে যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। শুধু চাই দেশের মানুষ যেন সুন্দর জীবন পায়, বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। শেষ হল সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন দীর্ঘ ২৮ কার্যদিবস চলার পর শেষ হয়েছে চলমান একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন। ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই অধিবেশন মঙ্গলবার সমাপ্ত হওয়া সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আদেশটি পাঠ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে সমাপনী বক্তব্য দেন তিনি।

সংসদীয় দলের বৈঠক: সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদ অধিবেশনে আমি নিয়মিত উপস্থিত থাকি। আমার পেছনের আসনগুলোতে যেসব মন্ত্রী-এমপিরা বসেন, তারা যদি অনুপস্থিত থাকেন, সেসব আসনগুলো ফাঁকা দেখালে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায় যে, মন্ত্রী-এমপিরা সংসদে আসেন না।

এ কারণে যেসব মন্ত্রী-এমপি নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকতে না পারেন, তাদের আসনগুলো দূরবর্তী স্থানে স্থানান্তরের সতর্কবার্তাও উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ সময় সংসদ অধিবেশন চলাকালে মন্ত্রী-এমপিদের বাইরের কর্মসূচি যতটা সম্ভব কম রেখে সংসদে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্যও নির্দেশ দেন।

বৈঠক শেষে উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য যুগান্তরকে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপনে অতি উৎসাহী কিংবা বাড়াবাড়ি যেন না হয় সেজন্য দলের সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, অতি উৎসাহী হয়ে কিছু না করে বরং নতুন প্রজন্মের সামনে জাতির পিতার আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরতে হবে।

মুজিববর্ষকে সামনে রেখে যত্রতত্র, যেভাবে-সেভাবে জাতির পিতার ম্যুরাল বানানো চলবে না। এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী ম্যুরালগুলো নির্মাণ ও স্থাপন করতে হবে। টিআরের টাকা এ ক্ষেত্রে ব্যবহার না করে বরং মুজিববর্ষে গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দেয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব প্রদানের জন্য তিনি সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। রাত সাড়ে ৮টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিববর্ষের প্রতিটি কর্মসূচিতে দলের সংসদ সদস্যদের কার্যকর উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৯ মার্চ সংসদে মুজিববর্ষ উপলক্ষে শিশুমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সংসদ সদস্যরা যেন উপস্থিত থাকেন। এছাড়া আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ জাতীয় সংসদে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন বসবে।

ওই অধিবেশনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজাসহ বিদেশি অতিথিরা বক্তব্য রাখবেন। সুস্থ থাকলে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও আসবেন। বিশেষ অধিবেশনে যেসব মন্ত্রী-এমপি বক্তব্য রাখবেন, তাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। স্পিকারের কাছে বক্তব্য রাখার জন্য আগে থেকেই চিঠি দিয়ে আবেদন করতে হবে।

সবাইকে ইতিহাস জেনে গঠনমূলক বক্তব্য রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। সেটি বিশ্বের সব দেশের স্পিকারদের কাছে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে পৌঁছে দেয়া হবে। আর এমপিরাও নিজস্ব উদ্যোগে নির্বাচনী এলাকায় মুজিববর্ষ পালন করবেন, তবে বেশি লম্ফঝম্ফ যেন না করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, আ স ম ফিরোজ, হাফিজ আহমেদ মজুমদার, মযাহারুল হক প্রধান, গাজী শাহনেওয়াজ, শামীম ওসমান, ছোট মনির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

 

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button