বরিশাল বিভাগসারাদেশ

সেতু নয়, যেন মরন ফাঁদ

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের কুয়াকাটা খালের ওপর নির্মিত  লোহার সেতুটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ৭ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ২টি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী। জরুরি চিকিৎসা নিয়ে চরম বিপাকে ওইসব গ্রামের মানুষ। ক্ষেতের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে কৃষক পরিবার গুলো। সাধারনের শংকা দ্রুততম সময়ে
সেতুটি মেরামত করা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাজুড়া আবাসনের ৮০টি পরিবারসহ ফাশিপাড়া, নয়াপাড়া, মোথাউপাড়া, মেলাপাড়া, শরীফপুর ও বাহাসকান্দা গ্রামের প্রায় ৮ হাজার লোকের যাতায়তের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে কুয়াকাটা খালের ওপরে নির্মিত এই লোহার সেতুটি ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন আয়রন সেতুটি দিয়ে ওই গ্রামের হাজারো লোক মহিপুর ও কুয়াকাটাসহ উপজেলা সদরে যাতায়ত করে। গত প্রায় ৫ বছর আগে সেতুটি খারাপ অবস্থায় পরিণত হয়। যা ক্রমান্বয়ে পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। খালের লোনা পানির কারনে লোহার ভিমে মরিচা ধরে ইতোমধ্যেই সেতুটি দুর্বল হয়ে পরেছে।
খাজুরা আবাসনের সভাপতি আছিয়া বেগম ও সাধারন সম্পাদক সুধির চন্দ্র মিস্ত্রী জানান, বর্তমানে সেতুটির যে অবস্থা তাতে যাতায়ত করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। সেতুটি দ্রুত সংষ্কার হলে বড় ধরনের দুশ্চিন্তা হতে
বেঁচে যেতাম।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, কুয়াকাটা খালের ওপর লোহার সেতুটিসহ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সেতু অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে এ
বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ নতুন ব্রীজের বরাদ্ধ আসতে পারে। তবে, ব্রীজের নতুন বরাদ্ধ আসার আগ পর্যন্ত মানুষের চলাচলের জন্য বর্তমান সেতুর অদুরে একটি মজবুত সাঁকো করে দিবেন বলেও তিনি জানান।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button