রংপুর বিভাগ

ভুরুঙ্গামারীতে সাংবাদিক জলিলকে লাঞ্ছিত করার মুল আসামীকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধ: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইয়াবা সেবী নিয়ামুল আরিফ চৌধুরী ওরেফে নিখিল চৌধুরী জেল হাজত থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে তার নেতৃত্বে তিন জনের একটি সন্ত্রাসী দল প্রবীণ সাংবাদিক মোঃ আব্দুল জলিলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতির্কিত হামলা চালিয়ে কোরবানীর গরু কেনার ৮০ হাজার টাকা ও ব্যাবসার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা সহ মোট দুই লক্ষ টাকা ছিনতাই করে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত ২২ জুলাই দুপুর দু’টায় প্রকাশ্য দিবালোকে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
শারীরিভাবে লাঞ্ছিত সাংবাদিক আব্দুল জলিল ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এবং দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধির দায়িত্বে রয়েছেন।
জানা গেছে- ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইয়াবা সেবী নিয়ামুল আরিফ চৌধুরী ওরেফে নিখিল চৌধুরী সাবেক এমপি মরহুম শামসুল হক চৌধুরীর পুত্র এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরীর খোকনের ছোট ভাই হবার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া জীবন-যাপন করে আসছে।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য- চলতি বছরের ৩১ মে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নলেয়া গ্রামে ইয়াবাসহ শিক্ষক নিয়ামুল আরিফ নিখিল চৌধুরী (৪০) কে হাতে নাতে আটক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনা সম্পর্কে সেই সময় সাংবাদিক আব্দুল জলিল সরকার সংবাদটি প্রকাশ করায় নিখিল চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
এব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ আতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button