
এবারের অভিযাত্রায় তিনি ম্যাপ করেছিলেন ল্যাটিন আমেরিকার মধ্যে ক্যারিবীয় ও প্যাসিফিকের সমুদ্রের কোস্ট লাইনের দেশ গুয়াতেমালা, এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও কোস্টারিকা পর্যন্ত।
নাজমুন নাহার রাতের অন্ধকারে পার হয়েছিলেন গুয়াতেমালা থেকে এল সালভাদরের সীমান্ত। সেখানে এল তুনকো শহরে কিছুদিন থাকার পর পাড়ি দিয়েছিলেন অন্য বাকি সব দেশগুলোতে। এল সালভাদোর থেকে হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও কোস্টারিকার সীমান্তগুলো একা একা সড়কপথে পাড়ি দিয়ে তিনি এখন অবস্থান করছেন কোস্টারিকার তামারিন্দ শহরে।ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে এবারের পাঁচটি দেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে নাজমুন নাহার বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অনেক কঠিন সীমান্ত থেকেও কঠিনতর সীমান্ত এলাকা ছিল এই ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো। সড়ক পথের অবস্থা ভালো থাকলেও এখানে অনেক ধরনের ছিনতাই, খুন, কিডন্যাপ, মাদক চালান হওয়ার কারণে এখানকার দেশগুলো সফর অতটা সহজ ছিল না। গুয়াতেমালার শহরে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছেন তিনি।
এর আগে ২০১৭ সালে দক্ষিণ আমেরিকার প্যাসিফিক সমুদ্রের পাশ ঘেঁষে যাওয়া দেশ কলম্বিয়া থেকে অভিযাত্রা শুরু করে ইকুয়েডর পেরু, বলিভিয়া, চিলি, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, ব্রাজিল প্যারাগুয়ে হয়ে পানামা পর্যন্ত সফর করেছিলেন নাজমুন নাহার। ২০১৫ সালে তিনি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ জামাইকা, কিউবা, ডোমিনিকান রিপাবলিকসহ অন্যান্য দেশগুলো ভ্রমণের সময় মেক্সিকো থেকে বেলিজ পর্যন্ত সড়ক পথে সফর করেছিলেন।