জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই আশ্বাস দেন নরেন্দ্র মোদী।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মোদীর উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রয়েছে। তাই এ ধরনের ইস্যু নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই।’
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাকে লোতে নিউ ইয়র্ক প্যালেস হোটেলে দ্বিপক্ষীয় সভা কক্ষে দুই নেতার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মোমেন বলেন, দুই দেশে প্রধানমন্ত্রী তিস্তা নদীসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয়েও আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয় নেতার মধ্যে এই বৈঠক খুবই সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে এনআরসি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনআরসি ইস্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘এনআরসি ও নদীরগুলোর পানি বণ্টনের মতো ইস্যুগুলোকে আমরা সহজভাবে নিতে পারি। কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।’
শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, এ বিষয়টি নির্ধারণে কাজ করবে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বৈঠকে কোনো বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। কারণ আগামী ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দুই নেতার মধ্যে ভাই-বোনের মতো চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। উভয় পক্ষ দুই দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক খান, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান।