জাতীয়

এনজিওর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা দেয়ার নির্দেশ

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী জুন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি আদায় না করার নির্দেশ দিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। এ খাতে করোনার প্রভাব ও কিস্তি আদায় করতে না পারায় ক্ষতিতে পড়লেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে অথরিটি।

গত ৫ মে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেশের সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছে ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি।

চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আপনাদের ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় বর্তমানে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। এহেন অবস্থায়ও উক্ত রোগ প্রতিরোধসহ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের পাশাপাশি আপনারাও নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন, যা প্রশংসনীয় এবং আপনাদের প্রতিষ্ঠানসমূহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের সহায়ক।

এর পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি প্রদান অব্যাহত রাখাও অত্যন্ত জরুরি। তাই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি নিয়মিতভাবে প্রদান করার জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি দেশের যেসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, সেসব প্রতিষ্ঠান আগামী জুন পর্যন্ত নতুন করে কাউকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করতে পারবে না। গত ২২ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সনদপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে অথরিটি।

তারপরও এ প্রজ্ঞাপনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দেশের কিছু এলাকায় ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা হয়। তাই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেয়ার জন্য ২৫ মার্চ আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অথরিটি।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানো যাবে না। অর্থাৎ এই সঙ্কটময় সময়ে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণগ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সেক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। একইসঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নতুন করে কাউকে ঋণ দিতে চায় সেটা দিতে পারবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button