জাতীয়লিড নিউজ

করোনাভাইরাস: মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করল সরকার

করোনাভাইরাস মহামারি সংক্রমণ প্রতিরোধে নাগরিকদের সব জায়গায় মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ সরকার।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

পরিপত্রে যা বলা হয়েছে

সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট অফিসে আগত সেবা গ্রহীতারা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসহ সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে আগত সেবা গ্রহীতারা আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির ও গীর্জাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট পরিচালনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

শপিংমল, বিপণিবিতান ও দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতারা আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও মার্কেট ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক পরিধান ব্যতীত ক্রেতা-বিক্রেতারা কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করবে না। স্থানীয় প্রশাসন ও হাট-বাজার কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

গণপরিবহনের (সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশপথ) চালক, চালকের সহকারী ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গণপরিবহনে ওঠার আগে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মালিক সমিতি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সব শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মালিকরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

হকার, রিকশা ও ভ্যানচালকসহ সব পথচারীর মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করবেন।

হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কর্মরত ব্যক্তি এবং জনসমাবেশ চলাকালীন আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করবেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মালিক সমিতি নিশ্চিত করবে।

সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান নিশ্চিত করবেন।

বাড়িতে করোনা উপসর্গসহ কোনো রোগী থাকলে পরিবারের সুস্থ সদস্যরা মাস্ক ব্যবহার করবেন।

এ পরিপত্র বাংলাদেশে বসবাসরত সকলের জন্য প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করা হয়।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা কমে যাওয়ার পরেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই সময়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং  মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৯ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ৫১০ জন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার কার্যকর উপায় হিসেবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক পরিধান করার পরামর্শ দিয়েছেন।

মুসলমানদের ঈদুল আজহা উদযাপনের  মাত্র কয়েক দিন আগে মাস্ক পরার এই সরকারি নির্দেশনাটি আসল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button