জাতীয়

করোনার সুযোগে সরকারি সম্পত্তি জবরদখল ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ!

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা হাটবাজারের প্রাণ কেন্দ্রের প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি হরণ করার লক্ষ্যে বিএনপি নেতা শফিয়ার রহমান ভুয়া দলিল তৈরি করেন। ওই ভুয়া দলিল দিয়ে উক্ত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করিতেছেন। সরকারের অর্পিত সম্পতি অবৈধভাবে দখল করলেও নিশ্চুপ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উক্ত জমির মৌজাঃ দাঁতভাঙ্গা, এসএ খতিয়ান নম্বর ৪৮১, এসএ দাগ নম্বর ২৬৩/২৬৪ এবং আরএস খতিয়ান নম্বর ১, আরএস দাগ নম্বর ২৯৬ এ জমির পরিমাণ ৪০ শতাংশ। ওই জমি বাংলাদেশ সরকারের নামে আরএস রেকর্ডভুক্ত রয়েছে।
উক্ত জমি দাঁতভাঙ্গা হাটবাজারের নামে পেরিফেরিভুক্ত। ভুমিদস্যু শফিয়ার রহমান একজন মামলাবাজ। ঝামেলাযুক্ত জমি নামে বেনামে ক্রয় করে মামলা মোকর্দ্দমা করে প্রতিপক্ষকে হেনস্থা করে নিজের দখলে নেন। ভুমিদস্যু শফিয়ার রহমান দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হিসেবে রয়েছেন।
এছাড়াও দাদন (সুদের ব্যবসা), কালোবাজারি (শ্যালো ইঞ্জিনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ) পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে অধিক মুনফায় পাচার করেন। এভাবে তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান।
তাঁর সহোদর মোজাফ্ফর হোসেন রৌমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। এর যোগসাজশে ভুমিদস্যু শফিয়ার আরো শক্তিশালী। তাদের এই হীন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী বিস্মিত! এ মুহুর্তে ভুমিদস্যু শফিয়ারদের রোখা জরুরি।
একাধিকবার ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা এ নিয়ে ভুমিদস্যু শফিয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট। ওই ভুমিদস্যুর ভয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভুমিদস্যু শফিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার যাবতীয় কাগজপত্র ভুয়া। এতে আপনাদের সমস্যা কোথায়? তিনি আরো বলেন, ওই জমিতে আমি স্থাপনা করবোই। এতে কারও কিছু করার নেই।’ দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ছামছুল হক মৌলভী বলেন, মৌখিকভাবে ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য উপজেলা সমন্বয় মিটিংএ বলা হয়েছিল। কিন্তু আজও কোন পদক্ষেপ নেননি উপজেলা প্রশাসন। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি ভুয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে দলিল সম্পাদন করেন শফিয়ার রহমান। ওই জমির উপর প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট দেওয়া হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান বলেন, ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে ওই জমির প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button