জাতীয়লিড নিউজ

করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৬, আক্রান্ত ১৬১৭

দেশে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১৬ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ১৬১৭ জন। এটি একদিনে দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের রেকর্ড।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.নাসিমা সুলতানা এই তথ্য জানান। দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

নাসিমা সুলতানা জানান, নতুন একটিসহ মোট ৪৩টি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ১০ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হল দুই লাখ ৩ হাজার ৮৫২টি।

তিনি জানান, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ৬১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৩৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৬ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৮৬ জনে।

নাসিমা সুলতানা জানান, একদিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৪ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ২০৭ জন।

তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান ।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তারপর দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।

চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বেই দাপট দেখাচ্ছে। বিশ্বের ২১৩ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ বুধবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ২৫ হাজার ১২৫ জনে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৫০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে বর্তমানে ২৭ লাখ তিন হাজার ৪২৪ জন চিকিৎসাধীন এবং ৪৫ হাজার ৪৩১ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।

গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button