রংপুর বিভাগসারাদেশ

সংস্কারের মাত্র দুই বছরের মধ্যেই খানাখন্দে বেহাল সৈয়দপুরের শের-ই বাংলা সড়ক

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: সৈয়দপুর তামান্না সিনেমা হলের সামনে থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত নীলফামারী গামী সড়কটি সংস্কারের দুই বছর না যেতেই বেশ কিছু স্থানে বড় বড় গর্তের সৃস্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তি সত্বেও প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকজনকে এ সড়কেই চলাচল করতে হচ্ছে। সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের গাফিলতিতেই সড়কের এ অবস্থা বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কি:মি। প্রায় দুই বছর পূর্বে সৈয়দপুর পৌরসভা কার্যালয়ের দরপত্র আহবানের মাধ্যমে সড়কটি সংস্কারের কার্যাদেশ পায় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কটি সংস্কার করে। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজ ছিল অতি নিম্নমানের। গোলাহাট এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন ডাবলু বলেন, সড়ক সংস্কারের স্থান থেকে বেশ অনেক দুরে পিচ ও পাথরকুচির মিশ্রন গরম করা হয়েছে। ঠান্ডা হয়ে কার্যাকারিতা নস্ট হয়ে যাওয়া ওই উপকরন দিয়েই সংস্কার কাজ করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে রয়েছে শিল্প সাহিত্য সংসদ, সৈয়দপুর প্লাজা, উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, চিনি মসজিদ সহ গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা। লোকজন নীলফামারী থেকে সৈয়দপুর শহরে বা বাজারে যাতায়াতের জন্য ওই সড়কটিই ব্যবহার করে থাকে। লোকজনের দাবিতে সড়কটি সংস্কার করা হলেও মাত্র দুই বছরের মধ্যেই শিল্প সাহিত্য সংসদের সামনে, সৈয়দপুর প্লাজার সামনে, ২ নং রেলওয়ে গুমটি, সৈয়দপুর থানার সামনে, রেলওয়ে স্টেসন সংলগ্ন, চিনি মসজিদ সংলগ্ন, গোলাহাট কলেজ সংলগ্নসহ বেশ কয়েকটি স্থানের ইট-সুরকি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃস্টি হয়েছে। এতে সামান্য বৃস্টিতেই হাটু পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এছাড়া হর-হামেশাই ঘটছে দূর্ঘটনা। বাংলাদেশর ওয়ার্কার্স পার্টির সৈয়দপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রহুল আলাম ( মাস্টার) বলেন, সড়কের এ বেহাল অবস্থার মধ্যেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিত এবং বর্ষায় জলকাদায় নাকাল হতে হচ্ছে পথচারীদের। অনেক সময় রিকশা-সিএনজি চালিত অটোরিকশা উল্টে পড়ে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button