জাতীয়

করোনা: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফেরত উত্তরবঙ্গগামী মানুষদের ঠেকাতে পুলিশের চেকপোস্ট

সারাদেশে মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। যার বেশী ভাগই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে কর্মজীবিদের মাধ্যমে। কর্মস্থল ছুটি ও বন্ধ হওয়ায় দলে দলে ছুটছে গ্রামের বাড়ি। আর উত্তরবঙ্গ মানুষদের ফেরার মাধ্যম বঙ্গবন্ধু সেতু।

প্রবেশদ্ধার লকডাউন ও সেতুপূর্ব গোলচত্বরে চেকপোস্টের কারণে সেতু পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলার কর্মরত নানা শ্রেণি পেশার কর্মজীবি মানুষ বিকল্প নৌকাযোগে যমুনা নদী পথে সেতুর পশ্চিম পাড় সিরাগঞ্জের বিভিন্ন নৌকা ঘাটে পারি জমায়।

এর ফলে ঘটছে নানা ধরণের দুর্ঘটনা ও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা। এসব বহিরাগত মানুষদের যাতায়াত বন্ধ ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চেকপোস্ট অভিযান বসিয়েছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর সংযোগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে এই চেকপোস্ট বসানো হয় হয়। চেকপোস্টের শুরুতেই ভোর সকালে সংযোগ সড়কের পাথাইলকান্দি (যমুনা সেতু) বাজারে অভিযান চালানো হয়। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল সকালেও অভিযান চালায় পুলিশ।

থানা পুলিশ জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও বহিরাগতরোধে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় (বিপিএম) মহোদয়ের নির্দেশনায় চেকপোস্ট পরিচালনা করেন ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম ও থানার এসআই টিটু চৌধুরী ও মো. লিটন মিয়াসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে বহিরাগতরোধে নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়েছি। সচেতন করা হচ্ছে স্থানীয় সর্ব সাধারণদের। করোনা সংক্রমণরোধে মানুষদের নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে থাকার আহবান করা হচ্ছে। অযথা বাহিরে ঘোরাফেরাকারীদের জন্য নেয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা। পুলিশ সদস্যদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও তিনি আরো জানান, এ উপজেলায় যারা আসছেন তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে এবং সকলকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button