সারাদেশ

ভোলায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

ভোলায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন।আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভোলায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও আমর্ড পুলিশ। এখানে কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।

এদিকে বেলা ১১টা থেকে অবস্থান নিয়েছে ‘সর্বদলীয় ইসলামী ঐক্য পরিষদের’ নেতারা। তারা প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এর আগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে মামলা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার দিনগত রাতে বোরহানউদ্দিন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন এ মামলা করেন।

এদিকে ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কাউসার জানান, ফেসবুকে এক কটূক্তির ঘটনায় হিন্দু বিপ্লব চন্দ্র শুভ, মো. শাকিব ও লিমনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা (নং-১৭) দেয়া হয়। এ মামলায় তাদের ভোলা কোর্টে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে রোববার ‘তৌহিদি জনতা’র সংঘর্ষে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের হ্যাক করা ফেসবুক আইডি থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট’ দেয়া কেন্দ্র করে দিনভর এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত দুজন ছাত্রসহ চারজন নিহত এবং ৩০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, রোববার সকাল ১০টায় বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ শেষে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে গুলি, টিয়ারশেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

সংঘর্ষে আহত ৪৫ জনকে ভোলা সদর ও ৩০ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বাকিদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল জোরদার করার পর বিকালেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর মাদ্রাসাছাত্র মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের কলেজপড়ুয়া ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫) এবং মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button