মশা জরিপ শুরু চলতি মাসেই
চলতি মাসেই রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং অক্টোবরে ঢাকায় শুরু হচ্ছে মশা জরিপ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এ জরিপ পরিচালনা করবে। কীটতত্ত্ববিদ এবং এন্টোটেকনিশিয়ানের সমন্বয়ে গঠিত আটটি জরিপ দল এ কাজে অংশগ্রহণ করবে। রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা) নতুন করে আরও ৬১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ১৬৩ ও ঢাকার বাইরে ৪৫৬ জন। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২০৩ মৃত্যুর তথ্য এসেছে। যার মধ্যে ১০১ মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনা করে ৬০ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সম্মেলনে রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ১৮ অথবা ২০ তারিখে প্রান্তিক পর্যায়ে মশা জরিপ শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে এ জরিপ পরিচালিত হবে। অক্টোবরে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া মৌসুম পরবর্তী মশা জরিপ শুরু হবে। ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে এ জরিপ পরিচালিত হবে।
জরিপে সরকারি কীটতত্ত্ববিদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এন্টোটেকনিশিয়ানরা অংশগ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু বিস্তারের কারণ অনুসন্ধান করবে এ জরিপ দল। এক্ষেত্রে গ্রামীণ এডিস এলবোপিক্টাস বাহক হিসেবে কতটা সক্রিয় সেটিও নজরদারি করা হবে।
এদিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বরিশাল বিভাগে তুলনামূলক বেশি হওয়ায় আইইডিসিআরের একটি দল সরেজমিন পরিদর্শন করতে সেখানে যায়। সেখানে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দেখতে পান, এ বিভাগের ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বরিশাল জেলায় সবচেয়ে বেশি, ৫৪ ভাগ। এছাড়া পিরোজপুরে ১৫, ঝালকাঠি ও বরগুনায় ১০ ভাগ ডেঙ্গু রোগী বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে গৃহিণী ৪০, শিক্ষার্থী ৩০, শিশু ১১, ব্যবসায়ী ৭ ও কৃষক ৬ ভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম) ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮১ হাজার ১৮৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ৭৮ হাজার ৪৩৭ জন চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।