জাতীয়লিড নিউজ

রিজেন্টের নথিপত্র দুদকে জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর

আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনার চিকিৎসার জন্য সরকারের চুক্তিনামাসহ অন্যান্য নথিপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম দুদকের উপ-পরিচালক ও রিজেন্ট দুর্নীতির অনুসন্ধান কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকীর কাছে নথিপত্র জমা দেন।

এর আগে গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ২টায় আবু বকর সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দুদকের চার সদস্যের একটি দল স্বাস্থ্য অধিদফতরে আসেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কক্ষে প্রবেশ করেন। ঠিক দেড় ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা কক্ষ থেকে বের হন। বৈঠক চলার সময় বাইরে থেকে কাউকে ভেতরে এবং ভেতরের কাউকে বাইরে যেতে দেয়া হয়নি।

গত ১৩ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে। যার জন্য তিন সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়৷

কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দু’টি হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানের নের্তৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম।

অভিযানে প্রতারণার সত্যতা মেলে, সেই সঙ্গে পাওয়া যায় গুরুতর সব প্রতারণার তথ্য। পরদিন ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুরের দু’টি শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।

হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে। অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করে র‌্যাব। এরপর রিজেন্টের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে আটক করা হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button