অর্থনীতি

সআমানতকারীদের টাকা মেরেছেন পরিচালকরা

আমানতকারী সমিতির নেতারা বলেছেন, তাদের টাকা মেরে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের বর্তমান পরিচালকরা। এরপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার আমানতকারীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড আমানতকারী সমিতির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক রানা ঘোষ, সম্পাদক প্রশান্ত কুমার দাস, সদস্য কামাল আহমেদ এবং সামিয়া বিনতে মাহবুব। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম ও অবসায়ক আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন।

আমানতকারীরা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যে একটি অডিট প্রতিষ্ঠানকে পিপলস লিজিংয়ের খুঁটিনাটি দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি চার মাস সময় চেয়েছে।

সমিতির সদস্য সামিয়া বিনতে মাহবুব জানান, আমানতকারীদের টাকা মেরে নিজেদের ব্যবসা গোছাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালকরা। এরপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাদের ব্যাংক হিসাব তলব বা স্থগিত করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে বলেই পিপলস লিজিংয়ে টাকা রেখেছি।

এমনকি আমানতের বিপরীতে উপযুক্ত ট্যাক্স দিয়ে আসছি। সুতরাং আমাদের টাকার নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। প্রথম থেকে সে দাবি করে আসছি এবং টাকা পাওয়ার আগ পর্যন্ত করে যাব। কারণ এই প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে আমরা এখন অসহায়। বর্তমান দায়িত্বরত দুই পরিচালক সম্পর্কে সামিয়া বলেন, তারা আমাদের টাকা নিয়ে বিলাসিতা করছেন এবং নিজেদের ব্যবসা গোছাচ্ছেন।

একজন চট্টগ্রামে রেডিসন ব্লু নামের হোটেল খুলেছেন। অন্যজনের বিরুদ্ধে বান্দরবনে রিসোর্ট খোলার অভিযোগ করেন তিনি। সমিতির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির আমাদের দ্রুত টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন। তবে এর জন্য তিনি নির্দিষ্ট কোনো সময় নির্ধারণ করতে পারেননি। আমরা আশা করছি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অডিট কার্যক্রম শেষ হলেই টাকা ফেরত পাব।

এছাড়া যারা অব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি বলেন, যদি এর মধ্যে ২০ কোটি টাকাও উদ্ধার করা যায় তবে সেটা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button