জাতীয়

সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ ৭৩৩টি

দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মিলিয়ে ৭৩৩টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে একটি রিট আবেদনে হাই কোর্টের নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল আদালতে মঙ্গলবার এ তথ্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ইয়াদিয়া জামান।

অমিত তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন,“আইসিইউ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা সংক্রান্ত আরও দুটি রিট রয়েছে। সবগুলো রিটের শুনানির জন্য ১৪ জুন তারিখ রেখেছেন আদালত।”

ইয়াদিয়া জামান বলেন, “আজ রাষ্ট্রপক্ষ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

“প্রাইভেট হসপিটালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আরও দুটি রিট মামলা দায়ের হওয়ায় আদালত আগামী রোববার পরবর্তী শুনানির জন্য রেখেছেন। আদালত আইসিইউ বেড অব্যবস্থাপনা এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।”

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আইসিইউ জরুরি হয়ে পড়ে। আইসিইউর জন্য রোগীদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইন উপদেষ্টা (উপসচিব) দেবাশীষ নাগের স্বাক্ষরে হাই কোর্টে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরুরি এই পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুধু কোভিড সার্ভিসের জন্য ১৭টি হাসপাতালে ২৩৫টি আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।

২৩৫টি আইসিইউ ইউনিটের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৩০ শয্যা হাসপাতালে ১০টি, মহানগর হাসপাতালে ৫টি, লালকুঠি হাসপাতালে ৫টি, গোলাপগঞ্জ হাসপাতালে  ১০টি, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৭টি,সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ৯টি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০টি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি, খুলনার জেলা হাসপাতালে ১০টি, বরিশাল জেলা হাসপাতালে ১০টি, রংপুর শিশু হাসপাতালে ১০টি, ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালে ৫টি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপতালে ১৬টি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৬টি, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ২৭টি, বসুন্ধরা আইসোলেশন হাসপাতালে ৫০টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ফিল্ড হাসপাতালে ২৫টি স্থাপন করা হয়েছে।

এগুলো নিয়ে দেশের সরকারি হাসপাতালে মোট আইসিইউর সংখ্যা ৭৩৩টি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

গত ৮ জুন দেওয়া আদেশে আদালত আইসিইউর সংখ্যার পাশাপাশি সেগুলোর ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়ে থাকে, তাও জানতে চেয়েছল।

আইসিইউ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,“স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্থাপিত কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে আইসিইউ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজ ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য আইসিইউ সাপোর্ট সংশ্লিষ্ট হাসপতালে যদি অপর্যাপ্ত হয়, তাহলে তারা কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন। কন্ট্রোল রুম হতে নিকটস্থ যে হাসপাতালে আইসিইউ সহজপ্রাপ্য রয়েছে সেখানে রোগীকে প্রেরণের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয় এবং একইসাথে আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে পরামর্শ প্রদান করা হয়।”

রিট আবেদনটিতে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ অধিগ্রহণ ও অনলাইনে সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো চালুর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনটি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মিলিয়ে ৭৩৩টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে একটি রিট আবেদনে হাই কোর্টের নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল আদালতে মঙ্গলবার এ তথ্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ইয়াদিয়া জামান।

অমিত তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন,“আইসিইউ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা সংক্রান্ত আরও দুটি রিট রয়েছে। সবগুলো রিটের শুনানির জন্য ১৪ জুন তারিখ রেখেছেন আদালত।”

ইয়াদিয়া জামান বলেন, “আজ রাষ্ট্রপক্ষ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

“প্রাইভেট হসপিটালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আরও দুটি রিট মামলা দায়ের হওয়ায় আদালত আগামী রোববার পরবর্তী শুনানির জন্য রেখেছেন। আদালত আইসিইউ বেড অব্যবস্থাপনা এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।”

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আইসিইউ জরুরি হয়ে পড়ে। আইসিইউর জন্য রোগীদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইন উপদেষ্টা (উপসচিব) দেবাশীষ নাগের স্বাক্ষরে হাই কোর্টে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরুরি এই পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুধু কোভিড সার্ভিসের জন্য ১৭টি হাসপাতালে ২৩৫টি আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।

২৩৫টি আইসিইউ ইউনিটের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৩০ শয্যা হাসপাতালে ১০টি, মহানগর হাসপাতালে ৫টি, লালকুঠি হাসপাতালে ৫টি, গোলাপগঞ্জ হাসপাতালে  ১০টি, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৭টি,সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ৯টি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০টি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি, খুলনার জেলা হাসপাতালে ১০টি, বরিশাল জেলা হাসপাতালে ১০টি, রংপুর শিশু হাসপাতালে ১০টি, ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালে ৫টি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপতালে ১৬টি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৬টি, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ২৭টি, বসুন্ধরা আইসোলেশন হাসপাতালে ৫০টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ফিল্ড হাসপাতালে ২৫টি স্থাপন করা হয়েছে।

এগুলো নিয়ে দেশের সরকারি হাসপাতালে মোট আইসিইউর সংখ্যা ৭৩৩টি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

গত ৮ জুন দেওয়া আদেশে আদালত আইসিইউর সংখ্যার পাশাপাশি সেগুলোর ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়ে থাকে, তাও জানতে চেয়েছল।

আইসিইউ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,“স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্থাপিত কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে আইসিইউ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজ ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য আইসিইউ সাপোর্ট সংশ্লিষ্ট হাসপতালে যদি অপর্যাপ্ত হয়, তাহলে তারা কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন। কন্ট্রোল রুম হতে নিকটস্থ যে হাসপাতালে আইসিইউ সহজপ্রাপ্য রয়েছে সেখানে রোগীকে প্রেরণের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয় এবং একইসাথে আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে পরামর্শ প্রদান করা হয়।”

রিট আবেদনটিতে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ অধিগ্রহণ ও অনলাইনে সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো চালুর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনটি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button