খেলাজাতীয়রাজনীতিলিড নিউজ

সাকিবকে আইসিসি শাস্তি দিলে কিছু করার থাকবে না: শেখ হাসিনা

আইসিসি সাকিব আল-হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বেশি কিছু করার থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তার পাশেই থাকবে।

মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের অভিজ্ঞতা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন করার অভিযোগে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে থাকার একটি খবর একটি দৈনিকে প্রকাশ করা হয়েছে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির পক্ষ থেকে সাকিবের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনও আসেনি।

তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হতে পারে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে।

সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সরকার এ বিষয়ে সাকিবের পাশে থাকবে কি না। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিসিবি যে সাকিবের পাশে থাকবে সে কথা ওই প্রতিবেদনেই এসেছে। আইসিসির নিয়ম তুলে ধরে তিনি বলেন, কোনো অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া হলে খেলোয়াড়দের তা আইসিসিকে সঙ্গে সঙ্গে জানানোর কথা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ওর (সাকিব) সঙ্গে যখন যোগাযোগ করেছিল ও গুরুত্ব দেয়নি, আইসিসিকে জানায়নি। নিয়ম হল সঙ্গে সঙ্গে জানানো। এখন আইসিসি যদি ব্যবস্থা নেয়, খুব বেশি কিছু তো আমাদের করার থাকে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ভুল সে করেছে এটা ঠিক, এটা সে বুঝতেও পেরেছে। বিসিবি বলেছে তার পাশে তারা থাকবে। ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যার বিস্তারিত তথ্য বের করে আনায় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নুসরাত হত্যার বিস্তারিত তথ্য বের করে আনতে সাংবাদিকদের যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। নুসরাত জীবন দিয়ে গেছে। কিন্তু সে একটা সাহসী ভূমিকা রেখে গেছে। দুর্নীতির জন্য গ্রেফতারদের কোনো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আছে কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কারাগারে আছে, সেটা কি বিচার হয়নি?

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, নুসরাত নিজের জবানবন্দি দিতে পারায় বিচারে সুবিধা হয়েছে। তার জবানবন্দি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া জনমতও তৈরি হয়েছিল।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন আওয়ামী লীগই করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দারিদ্র্যের হার কমেছে। উন্নয়নের ছোঁয়া দেশের মানুষ পাচ্ছে। ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যে সম্মান হারিয়ে গিয়েছিল, দেশের মানুষ সেটা আবার ফিরে পেয়েছে।

সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী এবারের ন্যাম সম্মেলনে তার অভিজ্ঞতার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

গত ২৫ থেকে ২৬ অক্টোবর উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট- ন্যামের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে বাকু কংগ্রেস সেন্টারে এ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়।

স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা ৫৮ বছরের পুরনো এ জোটের অষ্টাদশ শীর্ষ সম্মেলনে ৪০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নেন। এছাড়া পর্যবেক্ষক ১৭টি দেশ ও ১০ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও সম্মেলনে ছিলেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button