জাতীয়

সোনাতলার চরপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের ভবণ নির্মাণ জমি নিয়ে প্রশাসন-এলাকাবাসীর পাল্টাপাল্টি অবস্থান

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবণ নির্মাণ জমি নিয়ে প্রশাসন-এলাকাবাসীর পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে। রোববার বিদ্যালয় ভবন নিমার্ণের অংশ হিসেবে ঠিকাদার মাটি ভরাট ও সমান করতে গেলে বাদী এবং ঠিকাদার নিযুক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তারা কাজ বন্ধ করতে বললে তারা তাদের কাজ অব্যাহত রাখেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিজ জমি ফিরে পেতে জেলা বগুড়ার সোনাতলা সহকারী জজ আদালতে মোকদ্দমা নং-৭৯ গত ২৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ২৮নং চরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউনুছ আলী কমেল কে ১নং বিবাদী প্রধান শিক্ষক মাহিনুর আহম্মেদকে ২নং বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন মৃত গোফ্ফার আলী প্রাং-এর পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, তার ভাই সফিউর রহমান, শাজেদুল ইসলামসহ সর্বমোট ১৩জন।
এতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনাতলাকেও বিবাদী করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, সোনাতলা থানার বয়রা মৌজার সি.এস ২৮১ ও এম.আর.আর ৩৯৫, ডিপি খতিয়ান নং ১২৫১-এর ৫৭৪ দাগে ১৪ শতক জমির উপর বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের চেষ্টায় ৩টি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে এর মধ্যে ক. বিবাদীগণ যাতে নালিশী তফশীল বর্ণিত সম্পত্তিতে কোন প্রকার নির্মাণ কাজ না করতে পারে, বাধা সৃষ্টি করতে না পারে বা বাদীগণ বিবাদীদের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী ডিক্রী পায়, খ. যাবতীয় আদালত ব্যয় পেতে বাদীগণ খরচার ডিক্রী পায়, গ. আইন অবস্থা ও ইকুইটিমূলে বাদীগণ আর যে যে প্রতিকার পেতে হকদার তাও যেন পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলামের দাবি, আমাদের জমিতে কেন স্কুল করতেই হবে ইউএনও সাহেবকে? স্কুলের জায়গার দলিলমূলে স্কুলের ভবন নির্মাণ হবে। প্রয়োজনে আমরা সহযোগিতা করবো। তিনি আমাদের না জানিয়ে আমাদের জায়গা মাপজোক করে খুটিপুতে ভবন নির্মাণ কাজের অনুমতি দেন কিভাবে? আদালতে মামলা চলছে আমরা চাই আদালতে মামলা নিস্পত্তি বা ন্যায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত যেন এখানে কোন ভবন না উঠে। তাদের দাবি নিজের সম্পত্তি রক্ষার্থে কোন কথা বললেই মামলা মোকদ্দমার ভয়-ভীতি দেখানো হয়। একইসাথে সোনাকানিয়ার ইসারতুল্লা আকন্দের পুত্র আব্দুর রহমান জেলা প্রশাসক বরাবরে একই সম্পতির পাশে তার সম্পত্তি তাকে না জানিয়ে মাপজোক করে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়ার অনুমতি দেয়ায় পূণরায় মাপজোকের জন্য আবেদন করেছেন। তার দাবি, তার রেজিষ্ট্রিকৃত ৩৫৪৫ নং দলিলমূলে ক্রয় করে কাচা-পাকা ঘর নির্মাণ করে ভোগরত অবস্থায় ২ জুন ২০২০ তারিখে তার অনুপস্থিতিতে চরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের নেতৃত্বে মাপজোক করে তার দখলীয় সীমানা অতিক্রম করে লাল কালিতে ক্রস চি‎হ্ণ দেয় ভাঙ্গার জন্য। পরের দিন সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুর আলম-এর কাছে পূণরায় মাপজোকের কথা বললে তিনি তার বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে সরে নেয়ার জন্য চাপ দেন বলে জেলা প্রশাসককে জানান।
মামলার বাদীদের দাবি বিদ্যালয়ের জায়গায় বিদ্যালয় নির্মাণ করা হোক। তবে তা যেন অন্যের জমিতে জোর করে না হয়। তারা প্রশাসনের উর্ধোতন কর্তৃপক্ষসহ আদালতের ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। তবে শান্তির লক্ষে বাদীদের দাবি জোর করে অন্যের জায়গায় ভবন নির্মাণ করা থেকে দূরে সরে আসতে হবে। অন্য দাগে যেখানে জায়গা রয়েছে সেখানে ভবন করতে হবে । এবিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুর আলম-এর দাবি জায়গাটি চরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ড হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের রেকর্ড অনুযায়ী ২৫ শতক জমি বিদ্যালয় ভবনের জন্য মাপজোক করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে ঠিকাদারা ঐস্থানে কার্যক্রম শুরু করবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button