খেলালিড নিউজ

অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মাশরাফি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর অধিনায়কত্ব করতে দেখা যাবে না মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজের শেষ ম্যাচের ঠিক আগমুহূর্তে বলে দিয়েছিলেন জাতীয় দলের হয়ে আর টি-টোয়েন্টিতে দেখা যাবে না তাকে। আগামীকাল সিলেটে জিম্বাবুয়ের সাথে তৃতীয় ওয়ানডেতে দিয়েই জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আগামীকালই অধিনায়ক হিসেবে তাকে শেষ বার ওয়ানডেতে দেখা যাবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটে ম্যাচের পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়ে মাশরাফি বলেন, খেলোয়াড় হিসেবেই তিনি চ্যালেঞ্জ নিতে চান।

ক্রিকেটার অথবা বোর্ডের প্রতি কোন অভিমান নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সফল এই অধিনায়ক।

অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও অবসর নিচ্ছেন না মাশরাফি। দলের অংশ হয়ে থাকার ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাকে যে অনেক ভাবতে হয়েছে, সেটা জানিয়েছেন মাশরাফি। বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সম্মানের পদ ছাড়ার ব্যাপারে বর্তমান অধিনায়ক বলেছেন, ‘একটা মানুষকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্তত কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। ১৫ বছর ধরে এটা আমার জীবনের অংশ। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ। আমার যত অর্জন বা জীবনে যা কিছু করেছি, সব এ খেলা দিয়ে। আমার জীবনের অন্যতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটা। ফলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে আমার সময় দরকার হতো।’

সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি আরও বলেন, বাংলাদেশ দলের সকল সিনিয়র খেলোয়ারদেরই অধিনায়কত্ব করার যোগ্যতা রয়েছে। এসময় দলের কঠিন সময়গুলোর স্মৃতিচারণ করে মাশরাফি বলেন, ক্রিকেট আমার রক্তের ভেতরে র‍য়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে কোন বিষয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

আগামী ৮ মার্চ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভা আছে। বিসিবি সভাপতি এর আগে জানান, ওই সভায় নতুন মেয়াদে কাউকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হবে। মাশরাফিও ছিলেন আলোচনায়। তবে মাশরাফি নিজে থেকে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ায় এবার নতুন কাউকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে দেখা যাবে।

বাংলাদেশ দলে ২০০১ সালে অভিষেক হয় মাশরাফির। ২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পান তিনি। কিন্তু ইনজুরির কারণে দীর্ঘ হয়নি প্রথম মেয়াদে পাওয়া তার অধিনায়কত্ব। এরপর ২০১৪ সালে আবার দলের অধিনায়ক হন মাশরাফি। দলকে নেতৃত্ব দেন ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে।

মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তার অধীনে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলেছে। দলকে তিনি ৮৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯ ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন। হার দেখেছেন ৩৬ ম্যাচে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button