আর্চারের বাউন্সার হিউজের কথা মনে করিয়ে দেয় : স্মিথ
২০১৪ সালে সিডনিতে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে শন অ্যাবটেরর বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান ফিলিপ হিউজ। ঐ ঘটনা দাগ কেটেছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্বে। পাকিস্তানের তখন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচ ছিল। হিউজের মৃত্যু স্মরণে ম্যাচের মধ্যে একদিন খেলা বন্ধ রেখে শোক পালন করে তারা। লর্ডসে জোফরা আর্চারের বাউন্সারে মাটিতে পড়ে গিয়ে স্মিথেরও খানিকক্ষণ ধরে কেবল হিউজের কথা মনে পড়ছিল। এতে বোঝাই যাচ্ছে এ ঘটনায় সংজ্ঞাহীন ছিলেন স্মিথ। ক্রিকইনফোতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেন স্মিথ।
২০১৪ সালের শেফিল্ড শিল্ডের সে ম্যাচে স্মিথ খেলেননি। কিন্তু ঘটনা জানেন বলে বারবার সে দৃশ্যই চোখের সামনে ভেসে উঠে স্মিথের। স্মিথ বলেন, ‘আমার মাথায় কয়েকটি বিষয় ঘুরছিল। বিশেষ করে যে জায়গাটায় আঘাত পেয়েছি, অতীতের কিছু ফিরে এসেছিল। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি, ঠিক কয়েক বছর আগের ঘটনার কথা। সম্ভবত আমার মাথায় আসা প্রথম বিষয় ছিল সেটাই’।
এরপরই নিজেকে ঠিক মনে হলো স্মিথের। ‘পরে অবশ্য আমার মনে হচ্ছিল, ঠিক আছি। কোনো সমস্যা নেই। আমি কিছুটা কষ্ট পেয়েছিলাম, তবে ওই দিন পুরো বিকালে মানসিকভাবে ঠিকই ছিলাম।’
আসলে চোটের চেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন বেশি। পরে ব্যাট করতে নামলেও পরদিন চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে পারেননি মানসিকভাবে ফিট না হওয়ায়। কারণ পরদিন সকাল থেকে মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে তার। ডাক্তার যখন স্মিথকে জিজ্ঞেস করে কেমন অনুভব করছে, স্মিথ জবাবে বলেন ‘মনে হচ্ছে ছয়টা বিয়ার শেষ করেছি। অথচ সেটা না খেয়েও এমন মনে হচ্ছিল’।
আসলে নিজেকে তখন মাতালের মতো লাগছিল বলেন এ অজি ডানহাতি। এ কারণে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি স্মিথ। হেডিংলিতে বেন স্টোকসের বীরত্বে অ্যাশেজে সমতা এনেছে ইংল্যান্ড। চতুর্থ টেস্টে স্মিথের সামনে তাই আবার দলকে এগিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। ৪ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওল্ডট্রাফোর্ডে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট অজিদের।