খেলা

দর্শকদের বিদ্রূপের জবাবে যা বললেন নেইমার

মাঠে নামার পর থেকেই দর্শকদের বিদ্রূপের তীরে বিদ্ধ হতে থাকেন নেইমার। তার বার্সেলোনা যাওয়া নিয়ে নাটক কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না পিএসজি দর্শকরা। শনিবার রাতে ঘরের মাঠে স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান তারকার নাম ঘোষণা হওয়া মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্যালারির একটি বড় অংশ। তার উদ্দেশে ভেসে আসে একের পর এক কটূক্তি।

ইতিমধ্যে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে। তবু গোলের দেখা মেলেনি। মনে হচ্ছিল, যন্ত্রণা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে নেইমারকে। কিন্তু ৯২ মিনিটে এক বিস্ময়কর গোলে ছবি পুরো বদলে দেন তিনি। আবদু দিয়ালোর উড়ে আসা ক্রসে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে বাঁ পায়ের অবিশ্বাস্য ভলিতে স্ত্রাসবুর্গের জালে বল জড়ান ব্রাজিল সুপারস্টার। প্যারিসে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে ধাবিত ম্যাচ নেইমার-ম্যাজিকে ১-০তে জেতে পিএসজি।

প্রশ্নটা হলো- এই অসাধারণ গোল কী হালের ফুটবল মহাতারকার ক্ষোভে প্রলেপ দিতে পারল? দর্শক-বিদ্রূপ নিয়ে কী বলছেন তিনি? ম্যাচের পর নেইমার বলেন, আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই, সমর্থকদের বিরুদ্ধে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। পিএসজির বিরুদ্ধেও কোনো বক্তব্য নেই।

সবাই জানে, আমি ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলাম। সেসব নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলব, সময় এসেছে এসব ভুলে যাওয়ার। আমি এখন পিএসজির ফুটবলার। তাই মাঠে নেমে দলের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে তৈরি।

গেল মে’র পর দ্য পারিসিয়ানদের হয়ে মাঠে নামেননি নেইমার। তার ভবিষ্যৎ ঠিকানা নিয়ে জল্পনা চলছিল বলে ফরাসি লিগ ওয়ানের প্রথম চার ম্যাচে বাইরেই থাকতে হয়। মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচে নেমে দর্শক বিদ্রূপের শিকার হওয়াটা কতটা যন্ত্রণা দিচ্ছে আপনাকে?

নেইমার বলেন, আমার জীবনে এ রকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ব্রাজিলে খেলার সময় বিদ্রূপের শিকার হয়েছি। আবার এখন ফ্রান্সে খেলার সময়ও চিত্রটা বদলায়নি। ব্যাপারটা দুঃখের। ধরেই নিচ্ছি, এখন থেকে ঘরের মাঠেও প্রতিটা ম্যাচ আমার কাছে অ্যাওয়ে।

গোল করার পর নতুন এক উৎসব করতে দেখা যায় নেইমারকে। বলটা পেটের ভেতর ঢুকিয়ে মুখে আঙুল পুরে সতীর্থদের কাছে ছুটে যান তিনি। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে কী আবার বাবা হতে চলেছেন সাম্বা তারকা?

খেলার পর এ নিয়ে সাংবাদিকরাও প্রশ্ন করেন তাকে। মুচকি টানে হেসে নেইমার বলেন, আরে না, না। শান্ত হন, আমি আর বাবা হচ্ছি না।

তা হলে ওই রকম উৎসব কেন? সেলেকাও তারকার ব্যাখ্যা, আমি ভিনিসিয়াসের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ম্যাচের সময়ই ক্যারল মা হয়েছে। ওরা ছেলের নাম রেখেছে ভ্যালেন্টিন। আমি কথা দিয়েছিলাম, গোল করতে পারলে ভ্যালেন্টিনকেই উৎসর্গ করব।

ক্যারল হলেন নেইমারের সাবেক বান্ধবী। তিনি আবার ফুটবলারের সন্তান লুকা দাভির মা। ব্যবসায়ী ভিনিসিয়াস মার্টিনেজের সঙ্গে এ বছরই বিয়ে হয় ক্যারলের। তাদের ছেলে ভ্যালেন্টিনকেই গোল উৎসর্গ করলেন ব্রাজিল যুবরাজ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button