খেলা

নতুন শুরুর অপেক্ষায় নাঈম

বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের বাংলাদেশ দলেও তিনি ছিলেন। কোনো ম্যাচ খেলেননি, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগও তেমন ছিল না। কারণ নাঈম হাসানের পরিচয় তো আপাতত দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচের বোলার হিসেবেই। সে জন্যই ছয় মাস পর বাংলাদেশের আরেকটি টেস্ট এসে যেতেই আবার আলোচনায় তরুণ এই অফস্পিনার। যিনি আলোচিত হয়েছেন তাঁর অভিষেক টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়েও। সেটি যে মাঠে, সেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। এই ম্যাচ শুরুর আগেও ঝলমলে পারফরম্যান্স দিয়ে প্রস্তুতি সেরেছেন নিজের শহরে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলার অপেক্ষায় নাঈম।

বাংলাদেশ সফরে থাকা শ্রীলঙ্কার ইমার্জিং দলের বিপক্ষে খুলনায় বৃষ্টিবিঘ্নিত চার দিনের আন-অফিশিয়াল টেস্ট ম্যাচে ৯৩ রান খরচায় ৭ উইকেট নেওয়ার টাটকা স্মৃতি নিয়েই ফিরেছেন নিজের হোম গ্রাউন্ডে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সিলেটের বিপক্ষে চট্টগ্রামের হয়ে তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট অভিষেকও এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই। ওই ম্যাচটি পারফরম্যান্স দিয়ে তেমন রাঙাতে না পারলেও টেস্ট অভিষেক রাঙিয়েছিলেন ঠিকই। গত বছরের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্যাপ পাওয়া এই অফস্পিনার প্রথম ইনিংসেই ৬১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন সফরকারীদের। এবার আবার নিজের হোম গ্রাউন্ডে পারফরম্যান্সের ফুল ফোটাতে পারবেন তো এই সিরিজে চট্টগ্রামের একমাত্র প্রতিনিধি?

টানা খেলার ধকল এবং বাজে ফর্মজনিত অবসাদ কাটিয়ে উঠতে ওপেনার তামিম ইকবাল ছুটি নেওয়াতেই চট্টগ্রাম টেস্টে এই শহরের শুধু নাঈমই আছেন। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই বলছে যে তিনি দারুণ ছন্দেই আছেন। সেই ছন্দটা ধরে রাখতে চান আফগানদের বিপক্ষেও। তাই বলে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সকে পরবর্তী সাফল্যের নিশ্চয়তাও ধরে বসে থাকছেন না, ‘যখনই উইকেট পাই বা রান করি, তখন তো আত্মবিশ্বাসটা অবশ্যই বেশি থাকে। তবে অতি আত্মবিশ্বাসী হই না। স্বাভাবিকই থাকার চেষ্টা করি। কারণ প্রতিদিনই নতুন করে শুরু করতে হয়।’ যদিও এবার বোলার হিসেবে ভিন্ন অভিজ্ঞতার মুখেই পড়তে হতে পারে নাঈমকে। অভিষেক সিরিজে সামনে পেয়েছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের। ভারতীয় উপমহাদেশের উইকেটে যাঁদের স্পিন খেলার দুর্বলতাও নাঈমের মতো তরুণের সাফল্যে সহায়ক হয়েছে। আফগানদের ক্ষেত্রে খাটবে না সেটি। স্পিন বৈচিত্র্যে ভরপুর দলের ব্যাটসম্যানরাও এই ধরনের বোলারদের খেলতে ভীষণ অভ্যস্ত।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া আফগানিস্তান ‘এ’ দলের পারফরম্যান্সে সেটি ফুটেও উঠেছে। তবে বাংলাদেশ শিবিরও তো আর বসে নেই। দেশের মাটিতে আফগানদের টুঁটি চেপে ধরার ছকও কষা হচ্ছে নিশ্চয়ই। নাঈমও অপেক্ষায় সেই ছকটি হাতে পাওয়ার। হুবহু সেই ছকেই বোলিং করে যেতে চান রশিদ খানের দলের বিপক্ষে, ‘আমার নিজের কোনো পরিকল্পনা নেই। খেলার আগে তো আমাদের বলেই দেয় যে কিভাবে কী করতে হবে। ওই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই খেলতে হয়। প্রক্রিয়া মেনে খেললে এবং শতভাগ দিতে পারলে দিনের শেষে সাফল্য আসে।’

নিজের শহরে অভিষেক টেস্ট সাফল্যের পুনরাবৃত্তির স্বপ্ন নিশ্চয়ই দেখছেন নাঈমও!

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button