খেলা

ভারতের মাটিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি টাইগারদের

ভারতের গুজরাট রাজ্যের রাজকোটে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এখানেই বৃহস্পতিবার টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবেন টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে তারা।

ভারত এখন পর্যন্ত নিজেদের মাঠে মাত্র চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলগুলো তাদের মাটিতে স্বাগতিকদের হারিয়েছে। বাংলাদেশ পারলে সেটি হবে পঞ্চম ঘটনা।

ভারতের মাটিতে তাদের হারানো বাংলাদেশের জন্য একসময় ছিল অসাধ্য সাধনের মতো ব্যাপার। কিন্তু প্রথম ম্যাচে জয়ের পর লাল-সবুজ জার্সিধারীদের জন্য কাজটা এখন আর অতটা কঠিন বলে মনে হচ্ছে না। আর মাত্র একটি ম্যাচ জিততে পারলেই এ সিরিজে জয় পাবেন সফরকারীরা।

সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা ঘটনায় কোণঠাসা বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জিতে বেশ নাটকীয়ভাবে দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। নবীন খেলোয়াড়রা এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছেন। নাইম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও আমিনুল বিপ্লব- এ তিনজন ক্রিকেটার নিজেদের দক্ষতা ও শারীরিক ভাষা দিয়ে দলের চিত্র অনেকটা বদলে দিয়েছেন।

নাইম প্রথমবার বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাঠে নেমে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে শুরু থেকে ব্যাট হাতে ভারতীয় বোলারদের সহজে উইকেট পেতে দেননি তিনি। আফিফ ৩ ওভার বল করে ১১ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টির বিচারে বেশ কিপটে বোলিং করেছেন তিনি।

দিল্লিতে নামার আগে সাকিব ও তামিমের অনুপস্থিতি নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর তারুণ্য ও মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞতার মিশেলে বেশ নির্ভার একটা দল লক্ষ্য করা গেছে ।বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বহু দিন যাবত একজন লেগস্পিনারের খোঁজে ছিল। সেটার অভাব মিটছে বিপ্লবের হাত ধরে।

বাংলাদেশ মূলত সিনিয়র নির্ভর ক্রিকেট থেকে খানিকটা হলেও সরে আসছে। দলের যে পাঁচ ক্রিকেটারকে ‘পঞ্চপান্ডব’ বলে বর্ণনা করা হয়, তাদের মধ্যে তিনজনই এখন দৃশ্যপটে নেই। তাই এ একটি জয় সেই নির্ভরতা থেকেও বের করে আনছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। তবে লিটন দাসের ব্যাটে রান না আসা দুঃশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির জন্য এটা চ্যালেঞ্জ।

অবশ্য ভারত ছাড় দেয়ার পাত্র নয়। সিরিজে সমতা আনতে ঝাঁপিয়ে পড়বে তারা। নিশ্চিতভাবেই আরো বেশি প্রত্যয় ও আগ্রাসী হয়ে মাঠে নামবে। তবে ভয়টা তাদেরই বেশি। স্বভাবতই সিরিজে চোখ বাংলাদেশের। আত্মবিশ্বাস ও প্রথম ম্যাচের ছন্দটা ধরে রাখতে পারলে ইতিহাস গড়া সম্ভব।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button