খেলা

মাঠের লড়াইয়ের পর এবার বাকযুদ্ধে স্মিথ-আর্চার

লর্ডস টেস্টে জোফরা আর্চারের করা সেই বাউন্সারে হয়তো ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যেতে পারতো স্টিভেন স্মিথের। আরও খারাপ কিছু হলে ঘটতে পারতো বড় কোনো দুর্ঘটনা। অন্তত স্মিথের নিজের মনের মধ্যেও উঁকি দিয়েছিল ২০১৪ সালে বাউন্সারের আঘাতে পরপারে চলে যাওয়া ফিল হিউজের কথা।

সেসব কিছু হয়নি। স্মিথকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে মাত্র ৩টি ইনিংস। সেই লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস এবং পরে পুরো হেডিংলি টেস্টে খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক। তাকে ছাড়া কোনো ইতিবাচক ফলও পায়নি অস্ট্রেলিয়া। তবে সিরিজের চতুর্থ টেস্টেই মাঠে ফিরছেন স্মিথ।

তার আগে অবশ্য আর্চারের সঙ্গে এক দফা বাকযুদ্ধ সেরে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। আর্চার তাকে লর্ডস ও হেডিংলি টেস্ট থেকে ছিটকে দিলেও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কোনো ছাড় দেয়া হবে না- এ বার্তাই যেন দিয়ে রাখলেন স্মিথ।

এক সাক্ষাৎকারে নিজের মাঠে ফেরা, লর্ডসের সেই বাউন্সার ও আর্চারকে নিয়ে অনেক কথা বলেন স্মিথ। যেখানে কথার ফাঁকে তিনি জানান যে মাঠ ছেড়ে গেলেও, আর্চার তাকে আউট করতে পারেননি। তাই এখানে নৈতিক জয়ের পাল্লাটা থাকবে তার নিজের দিকেই।

স্মিথ বলেন, ‘আমি বেশ কিছু কথা শুনতে পাচ্ছি যে, আর্চার আমাকে পরাস্ত করতে পেরেছে। কিন্তু আসল সত্যিটা হলো সে আমাকে আউট করতে পারেনি। সে আমাকে লর্ডসের এবড়োথেবড়ো উইকেটে মাথায় আঘাত করেছিল। অথচ অন্যসব বোলাররা আমার বিপক্ষে তার চেয়ে আরও ভালো বোলিং করেছিল।’

স্মিথের এ যুক্তির পাল্টা যুক্তি দিতে দেরি করেননি আর্চারও। তার বক্তব্য হলো স্মিথ মাঠ ছেড়ে যাওয়ার কারণেই তাকে আউট করা সম্ভব হয়নি। তবে সামনের দুই টেস্টে স্মিথকে আউট করার অনেক সময় ও সুযোগ পাবেন বলেই মন্তব্য করেছেন আর্চার।

তিনি বলেন, ‘সে (স্মিথ) কী বলেছে শুনেছি। দেখুন, সে যদি মাঠেই না থাকে তাহলে আউট করবো কীভাবে? লর্ডস টেস্টে সে আবার উইকেটে আসার পর আমি তাকে আউট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি বোলিংয়ে আসার আগেই সে আউট হয়ে গেল। সে যাইহোক, সামনে তাকে আউট করার আরও অনেক সময় পাওয়া যাবে।’

এদিকে ইংলিশদের বাউন্সার পরিকল্পনার ব্যাপারে স্মিথ আরও বলেন, ‘তারা আমাকে মাথা ও কাঁধ বরাবর বোলিং করছে মানে হলো, আমার প্যাড বা স্ট্যাম্পে আঘাত করতে ব্যর্থ তারা। এজন্যই বাউন্সারের দিকে এগিয়েছে। ডিউক বল হাতে এ কাজটা খুবই সহজ হয়। যা হয়তো সামনের ম্যাচেও দেখা যাবে। তবে আমি সত্যিই আমার কোনো টেকনিকে পরিবর্তন আনবো না।’

আর্চারের কাছে রয়েছে স্মিথের এ মন্তব্যেরও জবাব। তিনি বলেন, ‘দিন শেষে আমি হয়তো বলতে পারবো না যে তাকে আউট করেছি বা করিনি। কিন্তু তার দলে আরও ১০ জন আছে, যাদের আমরা আউট করতে পারি। তখন সে ৪০ রানে অপরাজিত থাকলেও, তার দলের জন্য কোনো উপকারে আসবে না। আমরা সবাই জানি সে বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান এবং টেস্ট ক্রিকেটের যথাযথ টেম্পারামেন্টও রয়েছে। তবে সে একাই সবকিছু করতে পারবে না। এছাড়া আমি অ্যাশেজ জিততে চাই। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সঙ্গে যুদ্ধে জেতার লক্ষ্যে আসিনি।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button