অর্থনীতি

পাচার সম্পদ পুনুরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সগযোগিতা চায় দুদক

যে বা যারা এদেশের সম্পদ পাচার করে বিদেশে নিয়ে গেছে ওই সম্পদ পুনুরুদ্ধারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিশ্বব্যাংকের সগযোগিতা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। পাশাপাশি বলেন, দুদক অভিযোগ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয়কে ন্যূনতম গুরুত্ব দেয় না।

বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বনের নের্তৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ইকবাল মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তারা পারস্পরিক দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে আরো গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক অভিযোগ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যক্তির রাজনৈতিক বা সামাজিক পরিচয়কে ন্যূনতম গুরুত্ব দেয় না বরং অভিযোগের বস্তনিষ্ঠতা এবং ব্যপকতাকেই গুরুত্ব দেয়। দুদকের কাছে ব্যক্তির পরিচয় কোনো গুরত্ব বহন করে না। দুদক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে তার আইনি দায়িত্ব পালন করে। যে বা যারা এদেশের সম্পদ পাচার করে বিদেশে নিয়ে গেছে এই সম্পদ পুনুরুদ্ধারে দুদক বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চায়। পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারই দুদকের সর্বোচ্চ আইনি অগ্রাধিকার।

সম্পদপাচারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত জটিল বিষয়। বিভিন্ন দেশের স্বস্ব আইনে কারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায় না। এমএলএআর করা সত্ত্বেত কোনো কোনো ক্ষেত্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান ইকবাল মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক ও ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম (ইউএনও-ডিসি) কতৃর্ক গৃহীত স্টোলেন এসেট রিকভারি ইনিসিয়েটিভ কর্মসূচিতে দুদক কাজ করতে চায়। এসময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রিডিরেক্টর দুদকের এই অভিপ্রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে করণীয় সকল সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।

ব্রিটেন এবং হংকংয়ে কিছু হিসাবে জব্দের মাধ্যমে যে সব অর্থ জব্দ করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ জাতীয় কর্ম সম্পাদনে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এসময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুদকের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, আমি সত্যিই অভিভুত। আপনার তরুণদের হৃদয়ে নৈতকতার যে বীজ বপন করছেন একদিন জাতি হিসেবে এর সুফল পাবেন। তিনি সার্বিক বিষয়ে বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অগ্রগতি জানাবেন বলে আশ্বাস দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দুদকের মানলিন্ডারিং অনুবিভাগের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী প্রমুখ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button