অর্থনীতি

ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী

ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের নিউ বিংলে হল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ‘ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় শিল্পমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের সংগঠন দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সিটি মেয়র, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যসহ যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্প উদ্যোক্তা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ সহস্রাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শিল্পখাতে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, গভীর সমুদ্র বন্দর ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণসহ ব্যাপকহারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে বিনিয়োগবান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সরকারের নীতি সহায়তার ফলে দেশের শিল্পখাত ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিং, ওষুধ, প্লাস্টিক, সিরামিক, বাইসাইকেল ও সফটওয়্যার উন্নয়ন শিল্প ইতোমধ্যে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শিল্পে পরিণত হয়েছে। বেসরকারিখাত বিকাশের পাশাপাশি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানা লাভজনক করতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি জানান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাত বিকাশের পাশাপাশি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার উন্নয়নেও কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারিখাতে চিনিকল, সার, নিউজপ্রিন্ট, সিমেন্ট, গ্লাস, স্টিল, ক্যাবল, মোটর সাইকেল ও গাড়ি সংযোজন, ডিস্টিলারিসহ বেশকিছু শিল্প কারখানা পরিচালিত হচ্ছে। এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন ও পণ্য বৈচিত্রকরণের জন্য আধুনিকায়ন ও অটোমেশন জরুরী। ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের এসব কারখানায় যৌথ কিংবা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। এক্ষেত্রে উভয় দেশই লাভবান হবে।

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিভিন্ন অর্জন এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে এ পুরস্কার চালু করা হয়। দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে নিয়মিত এর আয়োজন করে আসছে। এ বছর তৃতীয়বারের মত পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে।

এ ধরনের ব্যবসায়িক অনুষ্ঠান আয়োজনের ফলে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অবদান জোরদার হবে। এটি যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও মনে করেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিল্পমন্ত্রী ৯ অক্টোবর লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেখান থেকে ১৩ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button