৩১১ প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স স্থগিত ও নয় প্রতিষ্ঠানের বাতিল
বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের কারণে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট গত ৮ মাসে ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স স্থগিত করেছে। এছাড়াও রাজস্ব ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স বাতিল করেছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩ হাজার ৮৩০টি সক্রিয় লাইসেন্স রয়েছে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের অধীনে। নিষ্ক্রিয় লাইসেন্স রয়েছে ২ হাজার ৯৮৩টি। আর মোট বন্ড লাইসেন্স রয়েছে ৬ হাজার ৮১৩টি।
বিভিন্ন সময়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অভিযান, প্রিভেনটিভ অভিযান ও নিরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বন্ড অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটিত হয়। সে মোতাবেক অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ড লাইসেন্স সাসপেন্ড ও বিন লক করে দেয় ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। ফলে এসব লাইসেন্স ব্যবহার করে আর কেউ বন্ড সুবিধায় পণ্য আমদানি রফতানি করতে পারে না। এরপর প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, শুনানি গ্রহণ ইত্যাদি আইনগত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে লাইসেন্স চূড়ান্ত বাতিল করা হয়।
যাদের বন্ড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তারা ফেব্রিক্স, কাগজ, বিওপিপি ফিল্ম, পিপি দানা, ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্টকার্ড ও সুতা বন্ড সুবিধায় আমদানির পর তা খোলাবাজারে অবৈধভাবে বিক্রি করেছেন। আর সেই অপরাধে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বন্ড সুবিধার আওতায় পণ্য তৈরি ও রফতানির পরিবর্তে কাঁচামাল এনে খোলা বাজারে বিক্রি করায় একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে দেশীয় শিল্প কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পাশাপাশি প্রকৃত শুল্ককর পরিশোধ করে যে সকল ব্যবসায়ী বাণিজ্যিকভাবে পণ্য আমদানি করে তারা বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ঝরে যাচ্ছে।